স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।

নুরুল হক নুর বলেন, 'যদি কিছু ঘটনায় প্রতিবাদমুখর হয়ে বাকি ঘটনাগুলোতে প্রতিবাদ না করি তাহলে অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা এবং সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হবে না। যখন কোনো ঘটনার জোরালো প্রতিবাদ হয়, ছাত্রসমাজ এবং সাধারণ জনগণ প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে, তখন সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হার্ডলাইনে যায়। যখন প্রতিবাদ থেমে যায়, তখন ঘটনাগুলো আবার পর্দার আড়ালে চলে যায়।'

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে পদযাত্রার আয়োজন করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সেখানে পদযাত্রা পূর্ববর্তী সমাবেশে এক বক্তব্যে ডাকসু ভিপি এ আহ্বান জানান।

ডাকসু ভিপি বলেন, ‘এসব ঘটনা যে বাড়ছে সেজন্য রাষ্ট্র নিজেও দায়ী। কারণ রাষ্ট্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইন আদালত ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তির কারণে অনেকে অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। সে কারণে এ ধরনের ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে।'

তিনি বলেন, 'দু-একটি ঘটনার প্রতিবাদ হলেও অনেকগুলো ঘটনার প্রতিবাদ না হওয়ায় ঘটনাগুলো ধামাচাপা পড়ে যায়। তাই ধর্ষণ, নারী নিপীড়নসহ সব অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিকল্প নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় সোচ্চার না হলে জোরালো পদক্ষেপ হতো না।'

তিনি আরও বলেন, 'ক্যান্টনমেন্টের মতো সুরক্ষিত এলাকায় তনু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সেই ঘটনায় জোরালো প্রতিবাদ হয়েছে। কিন্তু তনু হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো বিচার না হওয়ায় আমরা ধিক্কার জানাই। রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হলে, রাষ্ট্রের আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য তরুণ সমাজকে প্রতিবাদ করতে রাজপথে নেমে আসতে হবে।'

পদযাত্রা পূর্ববর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, বিন ইয়ামিন মোল্লা, মশিউর রহমান প্রমুখ।

পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২০)