হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কৃষকের সাথে প্রতারণা করে দীর্ঘদিন যাবত থাইলেন্ড থেকে আমদানীকৃত থাই জিপসারের নামকরণ করে প্রতারণার মাধ্যমে ইট ও টাইসের গুড়া মিশ্রিত করে বাজারজাত করে আসছেন উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের আমতৈল গ্রামের আব্দুল জলিলের পুত্র জিন্নাত আলী।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে উপ-পুলিশ পরির্দশক মাহমুদুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান পরিচালনা করে ধারা ইউনিয়নের আশ্রমপাড়া পুরাতন বাজারের মৃত বছির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল হালিম এর ঘর ভাড়াটিয়া জিন্নাত আলীর গুদাম থেকে ৩০ কেজি ওজনের ১৫০ বস্তা ইট ও টাইসের গুড়াসহ ৭০০ পিস থাই জিপসারের মোড়ক উদ্ধার করেন। প্রতিটি মোড়কের গায়ে লিখা রয়েছে নেট ওজন ১০ কেজি, আমাদানীকারক ও বাজারজাতকারী শুভ এন্টাপ্রাইজ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা বাংলাদেশ।

স্থানীয়রা জানায়, আব্দুল হালিমের নিকট থেকে প্রায় দুই বছর যাবত উক্ত গুদাম ঘরটি ভাড়া নেয় আমতৈল গ্রামের জিন্নাত আলী নামক এক ব্যক্তি। প্রত্যেকদিন গভীর রাতে উক্ত গুদাম থেকে কাভার্ড ভ্যান দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া করা হত। থাই জিপসারের নামকরণ করে প্রতারণার মাধ্যমে ইট ও টাইসের গুড়া মিশ্রিত করে বাজারজাত করে কৃষকের সর্বনাশ করেছে উক্ত প্রতারক। সাধারণ কৃষকের ক্ষতি সাধন করে হাতিয়ে নিয়েছেন মোটা অংকের অর্থ। ঘটনার পর থেকে জিন্নাত আলী পলাতক রয়েছেন। তারা উক্ত প্রতারকের কঠিন শাস্তি দাবি করেন। চেষ্টা করেও প্রতারক গুদাম মালিক জিন্নাত আলী ও ঘর মালিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভেজাল সার ও কীটনাশক প্রস্ততকারী জিন্নাত আলী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ৩০ কেজি ওজনের ১৫০ বস্তা ইট ও টাইসের গুড়াসহ ৭০০ পিস থাই জিপসারের মোড়ক উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রীয়াধীন রয়েছে বলে জানান।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২০)