রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : ধান বিক্রি না করায় বাবা ও ছেলেকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার শঙ্করপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শঙ্করপুর গ্রামের শোভা রানী সরদার জানান, একই গ্রামের নেপাল গাজীর ছেলে হানিফ ও হামিদ তাদের কাছে ধান বিক্রির জন্য বলে। প্রতি বস্তা ধানের জন্য এক হাজার ১৬০ টাকা নির্ধারণ করে তারা। শুক্রবার সকালে হানিফ ও হামিদ ধান নিতে আসে। বৃষ্টিতে মাঠে থাকা ধান ভিজে যাওয়ায় তা ঘরে শুকানোর জন্য ব্যস্ত থাকায় ও পূর্ণিমার কারণে ধান দিতে রাজী না হওয়ায় হানিফ ও হামিদ তার স্বামী জিতেন্দ্রনাথ সরদারকে শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে মারপিট করে। বাবাকে রক্ষ্যায় এগিয়ে গেলে ছেলে কুমারজিৎ সরদারে অণ্ডকোষ চেপে হত্যার চেষ্টা করে তারা। একপর্যায়ে তিনি ছেলেকে হামলাকারিদের হাত থেকে ছাড়িয়ে নেন। এ সময় হানিফ ও হামিদ চলে যায়।

শোভা রানী সরদার আরো বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হানিফ, হামিদ, তাদের বেহাই সাই আলীসহ তাদের ছেলে মেয়েসহ ২০/২৫ জন তাদের বাড়িতে আসে। ধার না দিলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করায় ছেলে কুমারজিতকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার ডান হাতের কবজী ও আঙুল ভেঙে দেয়। তার স্বামী ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তাকেও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয়রা ছুঁটে আসায় হামলাকারিরা চলে যায়। যাওয়ার আগে তারা ঘরবাড়ি রাতে ভেঙে দেবে বলে হুমকি দিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেশী পরিতোষ সরদার, সুভাষ সরদার ও পলাশ সরদার জানান, হানিফ ও হামিদসহ তাদের ১৫/১৬ জন সন্তানসহ কমপক্ষে ২৫/৩০জন যেভাবে কুমারজিত ও তার পরিবারের উপর হামলা করেছে তা কোন গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক ডাঃ অজয় কুমার সাহা বলেন, কুমারজিতের ডান হাতের রিষ্ট জয়েন্ট ও একটি আঙুল ভেঙে গেছে।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইআছিন আলী জানান, বিষয়টি তারা লোকমুখে শুনেছেন। তবে এ নিয়ে শুক্রবার বিকেল তিনটা পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২০)