সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চ  ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজের ৫দিন পর ভেকু ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান জিসানের (৩৫) লাশ গতকাল শুক্রবার দুপুরে সিরাজদিখান থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। তিনি রাজশাহী জেলার বোয়ালীয়া উপজেলার গোড়াহাঙ্গা  গ্রামের  মৃত মুকসেদুর রহমানের ছেলে। গত সোমবার রাতে উপজেলার বালুরচর  ইউনিয়নের পুরাতন ভাষানচর ধলেশ্বরী নদী সামসুল মোল্লার ইটের ভাটার এলাকার লঞ্চ ও ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে ট্রলার ডুবে গেলে এই ব্যক্তি নিখোঁজ হন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, গতকাল সকাল থেকে বালুরচর পুরাতন ভাষানচর সামসুল মোল্লার ইটভাটার এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর পাড় থেকে দুর্গন্ধ আসছিল। স্থানীয় লোকজন নদীর কিনারায় গিয়ে দেখতে পান, একটি লাশ ভাসছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মেহেদী হাসান ও লিখন সাভার জেলার আশুলিয়া থানায় ‘বাংলা ক্যাট’ নামের একটি বেকু কোম্পনীতে চাকরী করতেন সেই সুবাধে গত ৫ ই জানুয়ারী নারানগঞ্জ জেলার ফতুল্লার বক্তাবলীতে কোম্পনীর কাজ শেষ করে ভোর সাড়ে ৪টায় ট্রলার যোগে বুড়গঙ্গা নদী পার হতে গিয়ে লঞ্চের সাথে ট্রলারের ধাক্কা লাগলে দুজনেই নদীতে পরে গিয়ে নিখোজ হন ।

মেহেদী হাসান সিজান গত সোমবার কাজ শেষে ওই দিনই রাতে ট্রলারযোগে নারায়নগঞ্জ যাওয়ার পথে উপজেলার বালুরচর ইউনিয়নের পুরাতন ভাষানচর ধলেশ্বরী নদী সামসুল মোল্লার ইটের ভাটার এলাকায় এসে লঞ্চ ট্রলারের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলার থেকে সব যাত্রীরা সাঁতার কেটে পাড়ে উঠতে সক্ষম হলেও ভেকু ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান জিসান নিখোঁজ থাকেন। অনেক খোঁজাখুঁজির পারও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

পরে শুক্রবার দুপুরে সিরাজদিখান থানাপুলিশ ও স্থানীয় লোকজন ওই নদীর থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজদিখান থানা অফিসার্স ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোঃ ফরিদউদ্দিন বলেন, সকালে খবরপেয়ে লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুপুরে নিখোঁজ ভেকু ইঞ্জিনিয়ার মেহেদী হাসান জিসান নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। লাশের শরীরে পচন ধরেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতাল পাঠানো হবে।

(এসআরডি/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০২০)