স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর রামপুরায় দুই কর্মজীবী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার বাবুর্চি মুশফিক আলমকে (৩৮) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শনিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মিল্লাত হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

শুক্রবার রাতে ওই দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে মুশফিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

শনিবার সকালে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান মুন্সি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ওই দুই তরুণী রামপুরার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে মেসের মতো করে থাকেন। মুশফিক আলম সেখানে রান্নাবান্না করতেন। ওই দুই তরুণীও তার কাছেই খাওয়া-দাওয়া করতেন। বৃহস্পতিবার ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী ওই বাসায় খেতে গেলে তাকে ধর্ষণ করেন মুশফিক।

তিনি আরও বলেন, ১ জানুয়ারি একইভাবে অপর এক তরুণীও ওই বাবুর্চির ধর্ষণের শিকার হন। এছাড়া ওই তরুণী এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

শুক্রবার রাতে ওই দুই তরুণী একত্রিত হয়ে রামপুরা থানায় মুশফিকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন।

ভুক্তভোগী দুই তরুণী শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২০)