রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাদগাটা গ্রামে মরিয়ম হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ চারজনকে আটক করেছে। শুক্রবার রাতে তাদেরকে নিজ নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, শ্যামনগর উপজেলার কাচড়াহাটি গ্রামের পরিমল মণ্ডলের ছেলে ওয়াল্ড ভিশনের কর্মী সুব্রত মণ্ডল (২৩), উপজেলার আটুলিয়া গ্রামের নিত্যানন্দ মণ্ডলের মেয়ে ও সুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী পূর্ণিমা রানী মণ্ডল (২০), একই উপজেলার পোড়াকাটলা গ্রামের হাজারী লাল জোয়ারদারের ছেলে গ্রাম ডাক্তার বিকাশ জোয়ার্দার(২৮) ও সোয়ালিয়া গ্রামের ভ্যান চালক শাহীন (২৫)।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ইয়াছিন আলী জানান, বাদঘাটা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে মরিয়ম খাতুন (২১) বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। এ ঘটনায় পরদিন তার বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। শুক্রবার সকালে বল্লভপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মাধব চন্দ্র মণ্ডলের ধানক্ষেত থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই কারো নাম উল্লেখ না করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে যে সোয়ালিয়া গ্রামের ভ্যান চালক শাহীন হোসেন দেড় বছর আগে মরিয়মকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে তাকে মারপিট করে পুলিশে দেওয়া হয়। উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা তাকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। জেল থেকে বের হওয়ার পর শাহীন এমন ঘটনা ঘটাতে পারে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তাকে আটক করা হয়েছে।

এ ছাড়াও একসঙ্গে পড়াশুনা করার সময় পূর্বের সম্পর্কের জেরে সুব্রত মণ্ডল, তার স্ত্রী পূর্ণিমা মণ্ডল ও তাদেরই আত্মীয় বিকাশ জোয়ার্দারকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শাহীনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শনিবারের মধ্যে হত্যা রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০২০)