রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামে মরিয়ম খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত এনজিও কর্মী সুব্রত মণ্ডল পুলিশের কাছে তার দোষ স্বীকার করেছে। বিষয়টি সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রবিবার দুপুরে তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের অবহিত করেছেন।

সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শ্যামনগর উপজেলার বাদঘাটা গ্রামের প্রতিবেশি সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে মরিয়ম খাতুনের দু’ বছর যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মরিয়মের নামে মোবাইলের সিম তুলে সেই সিম ব্যবহার করতো সুব্রত। মাঝে মাঝে তাদের মধ্যে দেখা হলে শারীরিক সম্পর্ক হতো। বিয়ে করার জন্য মরিয়ম কিছুদিন ধরে সুব্রতকে চাপ দিয়ে আসছিল। সুব্রত’র ডাকে গত বুধবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বল্লভপুর বিলে বেরিয়ে আসে মরিয়ম। রাতে সুব্রতকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় মরিয়ম। সুব্রত রাজী না হলে তাদের বাড়িতে যেয়ে ওঠার কথা বলা হলে বুধবার রাত মরিয়মকে ধর্ষণ করে গলায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ বিলের মধ্যে ফেলে রাখে। শনিবার রাতে সুব্রতকে তার বাড়ি থেকে জিজ্ঞাসাবদের জন্য আটক করে পুলিশ। সুব্রত ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেয়।

তবে রবিবার বিকেলে সুব্রত মণ্ডল সাতক্ষীরার আমলী আদালত -১ এর বিচারক রেজোয়ানুজ্জামানের কাছে তার দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক অমল কুমার রায়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকালে শ্যামনগরের বাদঘাটার আব্দুল কাদেরের মেয়ে মরিয়মের লাশ বল্লভপুর গ্রামের মাধব মণ্ডলের ধানক্ষেত থেকে উদ্ধারের পর নিহতের ভাই মোহাম্মদ আলী বাদি হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে শুক্রবার রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

তবে সুব্রত মণ্ডলের পরিবারের দাবি তাকে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বাড়ি থেকে আটক করে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০২০)