মাওয়া থেকে : প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের কাছে ডুবে যাওয়া লঞ্চ পিনাক-৬ থেকে এখন পর্যন্ত ১৯ যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বাদল বুধবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানান।

উদ্ধার হওয়া ১৯ মৃতদেহের মধ্যে ৮টি শনাক্ত করা হয়েছে। ১১টি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। শনাক্ত করা মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। লঞ্চডুবির ওই ঘটনায় মোট নিখোঁজ হন ১৩৯ জন।

শনাক্ত করা মৃতদেহগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাদারীপুর জেলার শিবচরের নূরুল হকের মেয়ে হিরা (২২), জব্বার প্রধানের মেয়ে লাকি (২৫), আলম শেখের স্ত্রী হাসি বেগম (৩৮), নূরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে মিজানূর (৩৫), ফরিদপুরের নগরকান্দার আব্দুল হাই খলিফার মেয়ে রিতা আক্তার (২৫), ঝালকাঠি জেলার কাকরাদিয়ার লুৎফুর রহমানের ছেলে ফাহাদুল করিম (২৪) এবং ফরিদপুরের নগরকান্দার রিয়াজুল।

মাওয়া ঘাটে স্থাপিত মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের সাব-কন্ট্রোল রুমে নিখোঁজদের বিষয়ে তদারকির দায়িত্বে থাকা শ্রীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানান।

এখনও ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়নি উদ্ধারকারী জাহাজ ‘কান্ডারি’। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে এটি ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান শামসুদ্দোহা খন্দকার।

উল্লেখ্য, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কাওড়াকান্দি থেকে মাওয়া ঘাটমুখী লঞ্চ পিনাক-৬ মাওয়া ঘাটের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। এতে তিন শতাধিক যাত্রী ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৩৯ জনের নিখোঁজ থাকার অভিযোগ পেয়েছে প্রশাসন।

(ওএস/অ/আগস্ট ০৬, ২০১৪)