স্টাফ রিপোর্টার : ছয় মাসে ১৭৫.২০ একর রেলভূমি জবরদখলমুক্ত করে বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির অষ্টম বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. নূরুল ইসলাম সুজন, মো. শফিকুল আজম খান, মো. সাইফুজ্জামান, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গায় বাসস্থান বা স্থাপনা তৈরি করে যারা রেলওয়েকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে ট্রেন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে লোকোমোটিভ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

রোলিং স্টক অপারেশন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪০টি ব্রডগেজ ডিজেল ইলেকট্রিক লোকোমোটিভের ইঞ্জিন ক্যাবে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মর্মে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ হতে জানানো হয়।

এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের ছয়টি ও পূর্বাঞ্চলের চারটি হাসপাতালের জরাজীর্ণ অবস্থার উন্নয়ন, চট্টগ্রাম সিআরবি এলাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন ও এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধি, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি ও পূর্বাঞ্চলের পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ ভবন, অপর্যাপ্ত শিক্ষা উপকরণ, বেঞ্চ ও অন্যান্য সামগ্রীর উন্নয়ন বিষয়ে বৈঠকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সচিব, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০২০)