রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে বিএনপির বর্ধিত সভায় কর্মিদের তোপের মুখে পড়েছেন উপজেলার বিএনপি নেতারা। এসময় জেলা বিএনপির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। সোমবার পৌরশহরের শান্তা কমিউনিটি সেন্টারে উপজেলা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসাবে এক বর্ধিত সভার আয়োজন করে বিএনপির দুই শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

এতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আইনুল হক মাষ্টারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্বা তৈমুর রহমান সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ জেলা বিএনপি নেতা জাফরুল্লাহ,আল মামুন,নুর নবী। এছাড়াও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান আলী সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি বকুল মজুমদারসহ ইউনিয়ন ওর্য়াড বিএনপি নেতারা।

বর্ধিত সভায় উপস্থিত ইউনিয়ন ওর্য়াড বিএনপি নেতাদের উন্মুক্ত বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এ সময় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান শুভেচ্ছা বক্তৃতায় সংগঠনের বিভিন্ন সাংগঠনিক কাজ তুলে ধরে কাউন্সিল করার প্রস্তাব রাখেন।

এ সময় তার বক্তৃতার বিরোধীতা করে হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মাহবুব আলম বলেন,আমার ইউনিয়নে কমিটি করা হয়েছে আমি জানি না। ওর্য়াড কমিটি করা হয়েছে রাতের আধারে তারপর ইউনিয়ন কাউন্সিল করা হয়েছে পৌরশহরের ডায়বেটিস মোড়ে চুপেচাপে। এছাড়াও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কোথাও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করা হয়নি। ওর্য়াড ইউনিয়ন কমিটি করা হয়নি। তাতেই উপজেলা সম্মেলন কি করে হয়?

চেয়ারম্যানের পর বক্তব্য রাখেন বিএনপি কর্মি মোঃ পান তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সম্মেলন হবে জাকজমাঁকভাবে সেখানে ঐ ইউনিয়নের অঙ্গসংগঠনের নেতারা থাকবে। অথচ হোসেনগাঁও ইউনিয়নের কমিটি হলো কেউ জানতে পারলো না। কেন এভাবে কমিটি হচ্ছে তা জানতে তিনি উপস্থিত জেলা উপজেলা নেতাদের নিকট প্রশ্ন রাখেন। লেহেম্বা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর বলেন আমার ইউনিয়নে ওর্য়াড কমিটি হয়েছে তবে সেটির কাগজ দুইভাগে ইউনিয়ন সভাপতি সম্পাদকের নিকট জমা রয়েছে আমরা চাইলেও পাই না। উপজেলার নেতাদের বললেও তারাও গুরুত্ব দেয় না। কেন গুরুত্ব দেয় না তিনিও জানতে চান জেলা নেতাদের নিকট।

বাচোর ইউনিয়ন বিএনপি কর্মি স্বপন বলেন, আমার ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক বাসায় বসে ইচ্ছেমত কমিটি করছে। নতুনদের আসার কোন সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ঘরে বসে কমিটি করা হচ্ছে বলে তিনি জেলা নেতাদের নিকট অভিযোগ করেন। বর্ধিত সভায় উপস্থিত সকলে উপজেলা কমিটির কার্যক্রমের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অবশেষে জেলা বিএনপির নেতারা সম্মেলনের কোন সিদ্বান্ত না দিয়ে বিদায় নেন। এবং জেলায় আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্বান্ত জানানো হবে বলে মন্তব্য করেন।

(কেএস/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২০)