কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : ইন্টারনেটে কুষ্টিয়া সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজের আপত্তিকর পর্নো ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় দল থেকে তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।

সর্বত্র এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। দলের নেতারা বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বাচিপ নেতা ডা. আমিনুল হক রতন বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে এটা নিন্দনীয়। ভিডিও করে নেটে ছাড়া মোটেও ঠিক হয়নি।

সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান বলেন, সদর আওয়ামী লীগের একজন প্রবীণ নেতা হিসেবে বলতে পারি, এ ধরনের কাজ দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে। এরা সমাজকে কুলষিত করছে। এ ঘটনার চরম নিন্দা জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কথা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, ইন্টারনেটে মোমিজের আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। এ নিয়ে কথা বলতেও লজ্জা করছে। এটা দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের পর্যায়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, তবে তাকে (মোমিজ) আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দেবে। নোটিশের জবাব পেলে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, কুষ্টিয়া সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুর রহমান মোমিজের সঙ্গে জনৈক ব্যবসায়ীর মেয়ের অন্তরঙ্গ মুহুর্তের একাধিক ভিডিও নেটে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে মোমিজের অব্যাহতিপত্র সাংবাদিকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। মোমিনুর রহমান মোমিজ বরাবর প্রেরিত অব্যাহতি পত্রের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে দলের স্বার্থ, আদর্শ, শৃঙ্খলা তথা গঠণতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র পরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় সাধারন সম্পাদক পদ হইতে অব্যহতি প্রদান প্রসঙ্গে।

ওই পত্রে বলা হয়েছে, বিগত সম্মেলনের মাধ্যমে কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে আপনাকে (মোমিজ) দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু গভীর দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে, দায়িত্ব প্রদানের পর হইতে আপনি বিভিন্নভাবে দলের গঠণতন্ত্র শৃঙ্খলা ও ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধে অবৈধ কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছেন। সম্প্রতি আপনার বিরুদ্ধে যৌন কেলেংকারীর অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ ব্যাপারে শহরের সকল ওয়ার্ড কমিটির নেতৃবৃন্দ লিখিতভাবে অভিযোগ দাখিল করেছেন। সে কারণে আপনাকে কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পদ হইতে অদ্য থেকে অব্যহতি প্রদান করা হইল এবং আপনাকে কেন দল হইতে চুড়ান্তভাবে বহিস্কার করা হবে না তা আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

(কেকে/এইচআর/আগস্ট ০৭, ২০১৪)