আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় লেক ভেন হ্রদে গত ২৫ ডিসেম্বর নৌকাডুবিতে ৪ বাংলাদেশিসহ ৭ জন নিহত হয়। আগামী শুক্রবার ওই ৪ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানো হবে বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে।

দেশটির তাতভান জেলায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি রয়েছে বলে গত ২৬ ডিসেম্বর দূতাবাসকে অবহিত করা হয়। পরদিনই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে একটি দল পাঠায় দূতাবাস।

তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা থেকে প্রায় ১৫০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তাতভান জেলা। জায়গাটি খুবই দুর্গম ও তুষারে ঢাকা। দূতাবাসের দল তাতভান জেলার সরকারি হাসপাতালের হিমঘরে রক্ষিত মরদেহ থেকে ৪ জনকে বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ছবি ও মরদেহের ওপর তৈরি সিডি সংগ্রহ করে।

এছাড়া তুরস্কের প্যারা মিলিটারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক আটক বাংলাদেশিদের সাক্ষাৎকার নেয়। সেই সঙ্গে তাদের কাছ কে নৌকাডুবির ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নেয়।

নিহত ৪ বাংলাদেশির আত্মীয়-স্বজনদের প্রাপ্ত ঠিকানায় (টেলিফোন/মোবাইলযোগে) দূতাবাসের পক্ষ থেকে ঘটনার বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত তুরস্কে নৌকাডুবিতে নিহতদের আত্মীয়-স্বজনদের জানানো এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

ইতোমধ্যে দূতাবাস নিহতদের আত্মীয়-স্বজন এবং তুরস্কের তাতভান জেলার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও বিটলিস প্রদেশের প্রধান প্রসিকিউটর অফিসের সার্বিক সহযোগিতায় ৪ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দূতবাস থেকে আরও একটি দল তাতভান জেলায় যায়।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ওই ৪ জনের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হবে। আগামী শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মরদেহগুলো বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে অবৈধ অভিবাসনের প্রচেষ্টা কমবে বলে দূতাবাসের ধারণা।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ১৫, ২০২০)