স্পোর্টস ডেস্ক : ওপেনিংয়ে নেমে ব্যাটে ঝড় তুললেন ক্রিস গেইল। কিন্তু ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব ফেরার পরই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়লো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংস। ভালো অবস্থান থেকে হঠাৎই কোণঠাসা হয়ে পড়ে দলটি।

তবে হাতে যেহেতু ওভার ছিল, শেষ পর্যন্ত পুরো ওভার খেলে মোটামুটি লড়াকু একটা পুঁজি দাঁড় করাতে পেরেছে চট্টগ্রাম, ৯ উইকেটে তুলেছে ১৬৪ রান। অর্থাৎ ফাইনালে নাম লেখাতে রাজশাহী রয়্যালসকে করতে হবে ১৬৫ রান।

মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নামা চট্টগ্রামের পক্ষে ইনিংস উদ্বোধন করেন ক্রিস গেইল আর জিয়াউর রহমান। তবে প্রমোশন পেয়ে সুবিধা করতে পারেননি জিয়া। ১২ বলে মাত্র ৬ রান করে মোহাম্মদ ইরফানের বলে বোল্ড হন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

দারুণ ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসও এই ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৭ বল খেলে করেন ৫ রান, আন্দ্রে রাসেলের বলে মারতে গিয়ে বাঁহাতি এই ওপেনার হন মোহাম্মদ নওয়াজের ক্যাচ।

তবে অপরপ্রান্তে ঠিকই তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছিলেন ক্রিস গেইল। আগের ম্যাচে ধীরগতির এক ইনিংস খেলা ক্যারিবীয় আজ ২১ বলেই তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। ছক্কা মেরে ফিফটি করার পর আরও ভয়ংকর হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন।

নবম ওভারে বল হাতে নেয়া আফিফ হোসেনের প্রথম ডেলিভারিটিকেও ছক্কায় পরিণত করেছিলেন গেইল। কিন্তু পরের বলেই ক্যারিবীয় ওপেনারকে বোল্ড করে দেন রাজশাহী অফস্পিনার। ২৪ বলে গেইলের ৬০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসটিতে ছিল ৬ বাউন্ডারি আর ৫টি ছক্কার মার।

তবে গেইল ফেরার পরও ওই ওভারে আফিফকে নিস্তার দেননি মাহমুদউল্লাহ। টানা দুই বলে দুই ছক্কা হাঁকান। আফিফের ওভার থেকে আসে ২০ রান। ১০ ওভার শেষে চট্টগ্রামের রান ছিল ৩ উইকেটে ১১১।

পরের ওভারেই জোড়া উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে চট্টগ্রাম। ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকা মাহমুদউল্লাহকে (১৮ বলে ৩টি করে চার ছক্কায় ৩৩) বোল্ড করেন নওয়াজ। এক বল বিরতি দিয়ে এলবিডব্লিউ করেন নুরুল হাসান সোহানকে (০)।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পর টানা ৩২ বলে কোনো বাউন্ডারি হয়নি চট্টগ্রামে। অবশেষে অলক কাপালির করা ইনিংসের ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেই খরা কাটান আসেলা গুনারত্নে। ২৫ বলে ৩১ রান করা লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানই লড়াকু পুঁজি পর্যন্ত নিয়ে গেছেন চট্টগ্রামকে।

রাজশাহী রয়্যালসের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ ইরফান আর মোহাম্মদ নওয়াজ। একটি করে উইকেট আন্দ্রে রাসেল, আফিফ হোসেন আর অলক কাপালির।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ১৫, ২০২০)