স্টাফ রিপোর্টার : নীলফামারীর তিস্তাপাড়ের কনকনে ঠাণ্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে মারা গেল ৮ বছরের শিশু বৃষ্টি আক্তার।

সে নীলফামারীর তিস্তা নদী বিধৌত ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের উকিল পাড়া গ্রামের আতাউর রহমানের মেয়ে ও দক্ষিণ খড়িবাড়ী মুক্তা নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে মেয়েটিকে দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, বৃষ্টির বাবা একজন প্রতিবন্ধী। গত শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) কনকনে শীতের কারণে রাতে বাড়ির উঠোনে খড়কূটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের সময় আগুন লেগে বৃষ্টির শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ বৃষ্টিকে ওই রাতেই চিকিৎসার জন্য ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেন। কিন্তু খরচ বহন করার সামর্থ্য না থাকায় পরিবারের লোকজন বৃষ্টিকে ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রেখে চিকিৎসা করছিল।

দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটলে বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় গত মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বৃষ্টিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। ওই দিন বিকেলে অ্যাম্বুলেন্সে বৃষ্টিকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাত ৯টায় অ্যাম্বুলেন্সটি বগুড়া পৌঁছার পর বৃষ্টি মারা যায়। ফিরে এসে বুধবার দুপুরে নামাজে জানাজা শেষে বৃষ্টির দাফন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ১৫, ২০২০)