আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের জন্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘এস-৪০০’ তৈরি শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়া হবে। দূরপাল্লায় নিঁখুত নিশানায় সক্ষম এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আগামী দিনে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠবে বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশটি।

রাশিয়ার মিশন রোমানের উপ-প্রধান বাবুশ্নিকের বরাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত নিকোলাই কুদাশেভ বলেন, চলতি বছর ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রথম চালানের পাঁচ হাজার কালাশনিকভ রাইফেল পাবে, যা যৌথ তত্ত্বাবধানে ভারতে তৈরি করা হবে।

বাবুশ্নিকে বলেন, এসব অস্ত্রের চালানের অর্থ পরিশোধে রাশিয়া ও ভারত ‘সাফল্যের সঙ্গে সমাধান’ খুঁজে পেয়েছে এবং চলতি বছরই প্রতিরক্ষা খাতে বড় চুক্তি বাস্তবায়নের দিকে নজর দেওয়া হবে।

২০২৫ সালের মধ্যেই পাঁচটি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হবে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এসব ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন এরইমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে বিস্তারিত উল্লেখ করেননি তিনি।

ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কতা সত্ত্বেও আকাশপথের প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়ের জন্য ২০১৮ সালের অক্টোবরে রাশিয়ার সঙ্গে পাঁচ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলারে চুক্তি করে ভারত। এরইমধ্যে গত বছর ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয় বাবদ ভারত রাশিয়াকে ৮শ’ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে।

রুশ ‘এস-৪০০’ ক্ষেপণাস্ত্র আকাশপথের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে। ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণের এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতা প্রায় ৪০০ কিলোমিটার। এটি একই সময়ে ৮০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। স্বল্প উচ্চতার ড্রোন থেকে শুরু করে যেকোনো উচ্চতায় যুদ্ধবিমান এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রে আঘাত হানতে সক্ষম ‘এস-৪০০’। এই প্রযুক্তির প্রতি ইউনিটে থাকে নয়টি করে লঞ্চার (যেখান থেকে ছোড়া হয়), ১২০টি করে ক্ষেপণাস্ত্র এবং কমান্ড ও সাপোর্টের জন্য সরঞ্জাম ও বাহন।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ১৭, ২০২০)