সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা শহরের কামাননগরের সামুদ্দিন সরদারের মেয়ে রাশিদা খাতুনকে ৩৩ বছর আগে ভালবেসে বিয়ে করেন একই এলাকার মীরাজ আলীর ছেলে  ছুতোর মিস্ত্রী মোঃ আব্দুস সালাম। বিয়ের এক বছর পর ছেলে রমজানের জন্ম হয়। রমজান আলী ওরফে বাবুকে নিজের কাছে রেখে স্ত্রী রাশিদাকে তাড়িয়ে দেন। এরপর রাশিদা বড়বাজার সংলগ্ন হাটের মোড়ের  করিম কসাইকে বিয়ে করেন।

দু’ বছর পর ছেলে হিসেবে রমজানকে অস্বীকার করে শিশু অবস্থায় তাড়িয়ে দেন সালাম। তখন রমজানের একমাত্র অবলম্বন হয় মা। পরে বাবা তুজুলপুর এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় মায়ের সাগর ও শিল্পী নামের দু’ মেয়ে।মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে কষ্টে বেড়ে ওঠে রমজান। পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত কোন রকমে পড়াশুনা করে বর্তমানে পপুলার ইনসিওরেন্স বকচরা মোড় শাখার পিওন সে। পাঁচ হাজার টাকা বেতনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে চলে না তার সংসার। এরপরও বাবা আব্দুস সালামের সাথে পথে ঘাটে দেখা হলেও সন্তান হিসেবে মুখ ফিরিয়ে না দেখার ভান করে চলে যায়। এ যন্ত্রনা কি সহ্য করা যায় !
শুক্রবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদকের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎকারে গভীর নিঃশ্বাস ছেড়ে এ আক্ষেপের কথা বলেন বীমা কর্মী কামাননগরের রমজান আলী বাবু।
রমজান বলেন, তার দাদা মীরাজ আলীর ছয় ছেলে ও চার মেয়ে।তারা সকলেই ভাল আছে , সুখে শান্তিতে আছে। অথচ দাদার বাড়িসহ স্থাবর অস্থাবর সম্পদের অংশ অনুযায়ি মালিক হয়েছেন বাবা আব্দুস সালাম। দাদার রেখে যাওয়া সম্পদ ছেলে আব্দুস সালাম মালিক হওয়ায় তার মৃত্যুর পর সম্পত্তি বিক্রি করে তার বিমাতা ভাই সাগর একের পর এক নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন। বিমাতা বোন শিল্পীর জামাতা সাইফুল শ্বশুর বাড়ির জমি নিয়ে বানিজ্য করে চলেছে। অথচ হকদার হওয়ার পরও বাবার সম্পত্তি তিনি পাচ্ছেন না। বাবাকে ভুল বুঝিয়ে বিমাতা ভাই ও বোন কৌশলে কামাননগর ও রাধারনগরের (কেষ্ট ময়রার ব্রীজ সংলগ্ন) ১০ শতক জমি জবরদখলের চেষ্টা করছে। বাবা আব্দুস সালাম সোয়া এক শতক জমির মালিক হলেও কৌশলে চাচা ও ফুফুদের ফাঁকি দিয়ে তাকে বঞ্চিত করে ওই জমি বিক্রির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আব্দুস সালামের সন্তান হিসেবে তার পিতৃ পরিচয় ও সম্পদের অধিকার ফিরে পেতে সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন রমজান আলী বাবু।

(ওএস/পিএস/জানুয়ারি ২৪, ২০২০)