আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে গোটা মহানগরী এখন নির্বাচনী মিছিলের নগরীতে পরিনত হয়েছে। নির্বাচনী জ্বরে কাপছে পুরো ঢাকা। নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতা কর্র্মীরা ফলে, উৎসব মুখর আমেজ বিরাজ করছে ঢাকা মহানগরীতে। ভোটের দিন ক্ষন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের পক্ষে মিছিল, মিটিং, শো-ডাউন আর গণসংযোগের মাত্রাও ততই বাড়ছে। দলের তৃণমুল নেতা-কর্মীরা দিন রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রার্থীদের পক্ষে। 

নির্বাচনের দিন-ক্ষন গননার পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের জয় পরাজয়ের বিশ্লেষণও করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর ব্যক্তি ইমেজকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। ব্যক্তি ইমেজের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী নির্বাচিত হলে এলাকায় তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা। হোটেল-রেস্তোরাসহ ফুটপাতের চায়ের দোকানেও দিন রাত বইছে নির্বাচনী হাওয়া। সর্বত্রই জল্পনা কল্পনা কে হবেন নগড় পিতা ? কাকে নির্বাচিত করলে নগড় উন্নয়নসহ জনগনের সার্বিক নাগরিক সুবিধা পাবেন তারা।

আবার এলাকার স্থানীয় উন্নয়ন ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্যতার কথা মাথায় রেখেও ভোট দেয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন সাধারণ ভোটাররা। বিশেষ করে নাগরিক সুবিধা বঞ্চিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে অবহেলিত জনগনের নাগরিক সেবা বৃদ্ধি ও এলাকার উন্নয়নের চিন্তা মাথায় রেখেই ভোট দেয়ার কথা ভাবছেন ওই এলাকার সাধারণ ভোটাররা।

সিটি নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা তাদের নিজস্ব ইশতেহারে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন, ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকেই পছন্দ করছেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোটাররা।

একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাঠ জরিপেও বিএনপি প্রার্থীর থেকে ব্যারিষ্টার তাপস এগিয়ে রয়েছে। ওই সংগঠনের দাবি, বিএনপি নির্বাচনের শেষ সময় পর্যন্ত মাঠে থাকলে তাপসের জয়ে ভোট ব্যবধান অনেক কমে যাবে। এছাড়াও বিএনপি অন্য কোন অযুহাতে নির্বাচনের আগেই ভোট বর্জন, বা নির্বাচনের দিনও ঠুনকো অযুহাত খুঁজে মিডিয়ায় নির্বাচন কেন্দ্রিক বক্তব্য অব্যাহত রাখে তবে, দলের নেতা কর্মীদের মাঝে হতাশা ছড়িয়ে পরলে ভোটকেন্দ্র বিমুখ হয়ে পরবে বিএনপি ভোটাররা। একচেটিয়া ভোটে আওয়ামী লীগ প্রাথীর বিজয় নিশ্চিত হবে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বেসরকারী সংগঠনের জরিপ মতে, নগরীর স্থায়ী বাসিন্দা ভোটারদের চেয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মহানগরীতে বসবাস করা ভোটারদের ভোটেই জয় পরাজয় নিশ্চিত হবে প্রার্থীদের। সেক্ষেত্রে জীবিকার প্রয়োজনে রাজধানীতে বসবাসকরা ভেটাররাই জয়ের জন্য ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে প্রার্থীদের কাছে। সকল দলের প্রার্থীরাই ওই সকল ভ্রাম্যমান ভোটারদের নিজেদের কাছে টানার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

ভোটারদের কাছে টানতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ব্যারিষ্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এর পক্ষে গণসংযোগ ও প্রচারনার অংশ হিসেবে শনিবার সকালে সদরঘাট এলাকায় গন সংযোগ শেষে ওয়াইজ ঘাট এলাকায় আগৈলঝাড়াস্থ শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্মৃতি পরিষদের উদ্দ্যোগে ওয়াইজ ঘাট ব্যবসায়ীদের আয়োজনে নির্বাচনী সভা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বাবুর সভাপতিত্বে নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও আগৈলঝাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন আগৈলঝাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মোঃ লিটন।

তাপসের নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সভাপতি দীপংকর সিকদার দীপু, ওয়াইজ ঘাট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মজিবর রহমান মোল্লা, মাদারীপুরের কালকিনি পৌর কমিশনার জসিম উদ্দিন, স্থানীয় ব্যবসায়ী বারেক সেরনিয়াবাত, নাজমুল হাওলাদার, রাশেদ ভূইয়াসহ আগৈলঝাড়ার নির্বাচনী প্রতিনিধি দলের নেতৃবন্দর সাথে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা সরদার, আ’লীগ নেতা কাজী আওলাদ হোসেন, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক অনিমেষ মন্ডল, যুবলীগ নেতা সোহরাব হোসেনসহ স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারন জনগনসহ শ্রমজীবিরা।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৫, ২০২০)