স্টাফ রিপোর্টার : চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সাবরিনা ফ্লোরা। এ ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের সর্বাত্মক প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি।

চীন থেকে করোনাভাইরাস বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও সংক্রমণ করেছে, এমন পরিস্থিতিতে তারা উদ্বিগ্ন কি-না, জানতে চাইলে অধ্যাপক মীরজাদী সাবরিনা বলেন, করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা মোটেই উদ্বিগ্ন নই, আমরা প্রস্তুত।

‘চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা দেয়া এ ভাইরাস নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে সত্যি, কিন্তু এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাসের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ, মনিটরিং ও বিশ্লেষণের জন্য আইইডিসিআরে এ সংক্রান্ত তথ্য কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (ইউএসসিডিসি) দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নিয়মিত সভা করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করবেন। আপাতত চীন থেকে আগত ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানবন্দরে পরীক্ষা করা হবে। স্থলবন্দরগুলোকে সতর্ক রাখা হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাক্তার তানিয়া তহমিনা জানান, এখন পর্যন্ত চীন থেকে আগত এক হাজার ৭৮৩ জনকে স্ক্রিনিং (রোগ শনাক্ত পরীক্ষা) করা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি থার্মাল স্ক্যানারের মধ্যে দুটি মেশিনে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। একটি হাতমেশিনেও আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। আজ আরও দুটি হাতমেশিন যুক্ত হবে। এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।

এদিকে, চীনে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকার বলছে, নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় দুই হাজার মানুষ। যদিও বেসরকারিভাবে বলা হচ্ছে, আক্রান্তের সংখ্যা লক্ষাধিক।

পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ক’দিন আগে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সরকার।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০২০)