ডেস্ক রিপোর্ট : পৃথিবীজুড়ে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযাই  স্বাস্থ্য সচেতন, শিক্ষিত এবং মাতৃত্বকালীন পরিচর্যায় থাকেন যে মায়েরা তারা সবাই স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দেন এটা অনস্বীকার্য সত্য। এখানে অবাক হওয়ার বিষয় হলো, এমন মায়েদের শিশুরা প্রায় একই ওজনের এবং আকারের হয়ে থাকে। বিশ্বের মোট আটটি দেশের মায়েদের ওপর গবেষণা করে এ তথ্য দিয়েছেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

আরেক দিকে, সমাজ-সংস্কৃতির ওপর ভিত্তি করে নয় বরং স্বাস্থ্যহানির শিকার মায়েরা অস্বাস্থ্যকর ভ্রূণ এবং প্রায় একই ওজনের শিশুর জন্ম দেন। মাতৃগর্ভে শিশুদের বেড়ে ওঠা এবং তাদের আকার পৃথিবীজুড়ে একইরকম হয়ে থাকে। জন্মের সময় এদের সুস্বাস্থ্য নির্ভর করে মায়ের পরিচর্যার ওপর।

ব্রাজিল, চীন, ভারত, ইতালি, ওমান, ব্রিটেন এবং আমেরিকার শহর ও গ্রাম মিলিয়ে বিভিন্ন এলাকা বেছে নেয়া হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক ৬০ হাজার গর্ভবতী মায়ের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত করেন।

নতুন এ গবেষণায় দেখা যায়, মায়েদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও মাতৃত্বকালীন পরিচর্যার ফলে শিশু সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্যও তাদের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা থাকে সুনিশ্চিত। তাই জন্মের সময় প্রতিটি শিশুর একই ধরনের স্বাস্থ্য এবং আকার প্রায় নিশ্চিত করা যায় মায়ের পরিচর্যার মাধ্যমে।

প্রফেসর জোসে ভিলার, ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ডের নাফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব অবসটেট্রিকস অ্যান্ড গায়নেকোলজি। তিনি জানান, শিক্ষিত নারী মা হওয়ার আগে যদি তাকে সঠিক পরিমাণে পুষ্টির জোগান দেয়া হয় এবং প্রয়োজনীয় পরিচর্যা করা হয় তবে সবার শিশু একইরকম হবে।

গবেষণায় অংশ নেয়া নারীদের মধ্যে ৪ শতাংশের ক্ষেত্রে শিশুর ভ্রূণের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। এ গবেষণাসংক্রান্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে দ্য ল্যানসেট, ডায়াবেটিস অ্যান্ড এন্ডোক্রাইনোলজি।

(ওএস/এইচআর/আগস্ট ০৭, ২০১৪)