স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের লাগেজ কাটা রোধে লোডারদের (মালামাল খালাসে নিয়োজিত কর্মী) পকেটবিহীন জামা ও প্যান্ট সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব মো. মহিবুল হক।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সচিব এ তথ্য জানান।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ কাটা ও চুরি নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার ও নজরদারি বেড়েছে। এরপরও লাগেজ চুরির অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

যাত্রীদের লাগেজ কাটা বা চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে বিমান পরিবহন সচিব বলেন, ‘আমাদের এয়ারপোর্ট কোনো লাগেজ কাটে না। বিমানবন্দরে সিভিল এভিয়েশনের আলাদা সিসি ক্যামেরা আছে, এপিবিএনের আলাদা সিসি ক্যামেরা আছে, এনএসআইয়ের আলাদা ক্যামেরা আছে। কোথাও কোনো লাগেজ কাটার সুযোগ নেই, এমনকি কেউ যদি চেইন খুলে হাত ঢোকায় সাথে সাথে তাকে ধরে জেল দিয়ে দেয়া হচ্ছে।’

মহিবুল হক বলেন, ‘আমরা এটাকে (লাগেজ ব্যবস্থাপনা) সমন্বয় করিনি। এটা সেন্ট্রালি থাকুক। এতে কাজটা ভালো হবে, কোনো অনিয়ম হলে বিভিন্ন পর্যায়ের কেউ না কেউ ধরে ফেলবে। এনএসআইয়ের হাতে ধরা না পড়লে এপিবিএনের হাতে ধরা পড়বে। তাই আমি বলব, আমাদের এখানে লাগেজ কাটে না।’

‘শুধু বিমানে যদি কোনো লুজ লাগেজ আসে, তখন বিমানবন্দরে যখন নামাতে যায়, তখন যদি সে (লোডার) হাত দেয়। সেখানে আসলে আমাদের দেখার কোনো সুযোগ নেই।’

সচিব বলেন, ‘তবে এর প্রিভেনটিভ (প্রতিকার) হিসেবে আমি ওদের (লোডার) জন্য পকেটলেস প্যান্ট ও শার্টের ব্যবস্থা করছি। সেগুলোর অর্ডার দেয়া হয়ে গেছে, আগামী মাসখানেকের মধ্যে পেয়ে যাব। লোডারদের জামার ও প্যান্টের পকেট থাকবে না। আমরা ইতোমধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে দিয়েছি।’

লাগেজ পেতে দেরি হয় বলে অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এখন আর লাগেজ পেতে দেরি হয় না। আগে দেরি হতো।’

‘আপনি যদি দুবাই, দোহা বা অন্য এয়ারপোর্টে যান, তবে সেখানে ইমিগ্রেশন পেরিয়ে লাগেজের কাছে যেতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় লাগে। আমাদের এখানে ৩০ মিনিট লাগে না। আমাদের এখানে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে আসতে পারেন। তারপরও আমরা এটা মনিটর করছি’- বলেন মহিবুল হক।

তিনি বলেন, ‘(শাহজালাল বিমানবন্দরে) নতুন যে থার্ড টার্মিনাল হচ্ছে, সেখানে এটা (লাগেজ ব্যবস্থাপনা) আউটসোর্সিং হয়ে যাবে। বিমান আর করবে না। বিমান করতে পারে- আমরা খবরের কাগজে টেন্ডার আহ্বান করে বিজ্ঞাপন দেব, বিমান যদি কাজ পায় এভাবে পাবে।’

বিমান সচিব আরও বলেন, ‘আউটসোর্সিং হলে লাগেজ পেতে দেরি হলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারব, আমরা জরিমানা করতে পারব। প্রতি পাঁচ মিনিট দেরির জন্য আমরা তাকে জরিমানা করব। সরকারি সংস্থা হওয়ায় বিমানের বিরুদ্ধে তো কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০২০)