পাথরঘাটা প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ত্রানের তালিকায় পাঁকা বাড়ির মালিকদের নাম! বরগুনার পাথরঘাটা চরদুয়ানী হাইস্কুল মাঠে  শনিবার সকাল ১০ টায় বিতরণ করা হয় ত্রানের নগদ টাকা ও সব্জীবীজ। অক্সফাম ও কোডেকের সহায়তায় সংগ্রামের ব্যবস্তাপনায় এখানের ৫'শ পরিবারকে সব্জীবীজ সহ মোট ৫ হাজার করে টাকা দূর্যোগ পরবর্তী জরুরী ত্রান সহায়তা হিসাবে প্রদান করা হয়।

স্থানীয় এনজিও সংগ্রাম এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই ত্রাণের অর্থ তালিকাভূক্তদের হাতে তুলে দেন। আরও উপস্থিত ছিলেন সংগ্রামের নির্বাহী পরিচালক চৌধুরী মোঃ মাছুম সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ আর প্রকৃত অনেক অভাবী মানুষ এই তালিকা থেকে বাদ পরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

চরদুয়ানী গ্রামের মৃত ইউছুবের স্ত্রী ফিরোজা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার স্বামী নাই, ছেলের ব্রেন্ড টিউমারের রোগী। আমারে কেউ একটু সাহায্য করেন।

ঘটনার সময় মাঠের পাশের পুকুরপাড়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে রঙ্গিলা রানী (কনক), বিশাখা রানী, কামরুল ইসলাম, নাছিমা সহ বেশ ক'জন অভাবী নারী-পুরুষ।

তাদের অভিযোগ, চোখের সামনে মৃত কেশবের ছেলে শ্যামল মিত্রের বিল্ডিং নির্মানের কাজ চলছে। তারপাশে ছেলে শুভঙ্করের পাঁকা বিল্ডিং। সেই পাঁকাবাড়ির মালিক শ্যামল মিত্র আর শুভঙ্করের মা হাসি রানীর নাম ত্রানের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হলো কি করে?

অভিযোগকারীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, চরদুয়ানী গ্রামের নরেন হাওলাদারের ছেলে রতন এই কারসাজির তালিকা তেরীতে সহযোগীতা করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি করেন।

চরদুয়ানী ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বিষয়টি নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে রাজী হননি।

সংগ্রামের উপ পরিচালক মিজানুর রহমান মানিক মলেন, রতন আমাদের কেউ নন। তবে কিছু অনিয়মের কথা তিনি স্বীকার করেন। কহিনুর, রঙ্গিলা রানী, নূরজাহান, বিশখা রানী, হোসেনের মেয়ে মিনারা, কনক রানী ছলেমান, খালেক, কাছেমের ছেলে ফুলমিয়া, সেকান্দার গাজী, কানন রানীদের মতো গরীব অসহায়রা তালিকায় আসেনি বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০২০)