কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৫১ বছর পর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পালিত হলো ৬৯’র স্বাধীকার আন্দোলনে শহীদ আলাউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী। 

দিবসটি উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া নাগরিক কমিটির উদ্যোগে পৌর শহরে শোক র‌্যালি বের হয়। কালো ব্যাজ ধারণ করে কলাপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হওয়া শোক র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদের সামনে নির্মিত শহীদ আলাউদ্দিন স্মতি স্তম্বে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও শপথ গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।

বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ আলাউদ্দিনের কর্মময় জীবন ও দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাগরিক উদ্যোগ ও প্রগতি পাঠাগারের আহবায়ক নাসির তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আলোচনা করেন শহীদ আলাউদ্দিনের ভাই আবুল কালাম খান, তৎকালীন ছাত্রনেতা সো. সানু সিকদার, আহসান উদ্দিন জসিম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল হোসেন, সমাজসেবক বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু প্রমুখ। সভায় বক্তারা শহীদ আলাউদ্দিনের কলাপাড়া পৌর শহরে একটি রাস্তার নামকরণ ও স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করার দাবি জানান।

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালের ২৮ জানুয়ারি বরিশাল আসমত আলী খান ইসস্টিটিউনে( এ কে স্কুল) দশম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ঢাকার ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান ও কিশোর মতিউর রহমান হত্যার প্রতিবাদ ও আইয়ুব খানের পদত্যাগের দাবিতে বরিশাল জেলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় আলাউদ্দিন খান।

মিছিলটি বরিশাল সদর রোডের অশ্বিসী কুমার টাউন হলের সামনে এলে তৎকালীন ইপিআরের গুলিতে আহত হয় আলাউদ্দিন। ওই দিন রাতে বরিশাল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে শাহাদাৎ বরণ করেন। তাঁর নামে তৎকালীন কলাপাড়া থানা সার্কেল অপিসার (উন্নয়ন) কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনে একটি লাইব্রেরি ও শহীদ মিনার নির্মাণ করেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্দ চলাকালীন পাকবাহিনী শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে ফেলে। পরবর্তীতে এরশাদ আমলে শহীদ মিনারটি পুঃণনির্মাণ করা হয়।

(এমকেআর/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২০)