চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরে গুমানী নদীতে অবৈধভাবে সৌঁতি বাঁধ স্থাপন করে কীটনাশক প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালী তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কীটনাশকের প্রভাবে নদী জুড়ে দেশীয় প্রজাতির প্রচুর মরা মাছ মারা যায়। বিষাক্ত হয়ে উঠেছে নদীর পানি।

স্থানীয়দের অভিযোগে সোমবার দুপুরে মৎস্য বিভাগের লোকজন উপজেলার নটাবাড়িয়া এলাকায় স্থাপন করা অবৈধ সৌঁতিবাঁধ থেকে এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় কয়েকশ’ মিটার দুটি সোঁতি জাল জব্দ করে উপজেলা পরিষদের সামনে নিয়ে আসা হয়। এসময় স্থানীয়রা উপজেলা মৎস্য বিভাগের সামনে এসে মরা মাছ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে জব্দকৃত জাল জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলেন প্রশাসন। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন।

জানা যায়, নদীর পানি কমার সাথে সাথে অতিসম্প্রতি উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত গুমানী নদীর নটাবাড়িয়া এলাকায় কৃত্রিম স্রোত সৃষ্টি করে মাছ ধরার জন্য অবৈধ ভাবে সৌঁতিবাঁধ স্থাপন করে নটাবাড়িয়া গ্রামের প্রভাবশালী নুরু মোল্লা, বিদু মোল্লা ও রশিদ মোল্লা নামে তিন ব্যক্তি। কিন্তু মাছ কম হওয়ার কারণে তারা রাতের অন্ধকারে নদীতে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ ধরে তা পাইকারী আড়তে বিক্রি করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এ নিয়ে গ্রামবাসীদের সাথে অভিযুক্তদের বাকবিতন্ডাও হয়। পরে স্থানীয়রা রোববার উপজেলা মৎস্য বিভাগে ওই তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।

এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে মো. মাহবুবুর রহমানকে তার কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার মোহাম্মদ রায়হানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলোনা। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

(এস/এসপি/জানুয়ারি ২৮, ২০২০)