স্টাফ রিপোর্টার : ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে ফেব্রুয়ারির শুরুতে দ্বিপক্ষীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দশকের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো প্রধানমন্ত্রীর ইতালি এটা প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে। এ সফরে ব্যবসা, বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশটিতে দক্ষ কর্মী পাঠানোর বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুও আলোচনায় থাকবে।

জানা যায়, ইতালিও বাংলাদেশের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই ও জ্বালানি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাচ্ছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

সফরকালে ইতালিতে বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি কমপ্লেক্সের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অনুষ্ঠানেও বক্তৃতা করার কথা রয়েছে তার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ইতালির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে ১ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি দেশটিতে কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা মনে করেন, ইউরোপের মধ্যে ইতালিতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাংলাদেশি রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অবৈধ পথে ইতালি গেছেন।

সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে চুক্তির আওতায় ইতালি থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত আনা হচ্ছে। ফেরত আসা লোকজনের পুনর্বাসন ও প্রশিক্ষণে সহায়তা দিচ্ছে ইতালি। তাদের ফেরত আনার পাশাপাশি বৈধ পথে ইতালিতে কর্মী পাঠাতে চায় ঢাকা। এ বিষয়ে এই সফরে আলোচনা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইউরোপের দেশ ইতালিতে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইল, মাছ, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশটিতে ১৫০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। এ সময়ে ইতালি থেকে আমদানি ছিল ৭২ কোটি ডলারের।

এদিকে সম্প্রতি ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ গ্যাস ও তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ইএনআই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। কিছুদিন আগে প্রতিষ্ঠানটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করেছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সফরে ইতালির সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২০)