স্টাফ রির্পোটার : পৃথিবীর মাত্র ১৩টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। তাই বাঘ রক্ষার জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ নেওয়া দরকার তা আমাদের নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, বাঘ আমাদের জাতীয় সম্পদ। এই সম্পদকে টিকিয়ে রাখাই সবার প্রধান চ্যালেঞ্জ। এর জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ আমরা নেবো। বাঘ যেন মানুষের হাতে আর মারা না যায়।
বাঘ সরকারিভাবে সংরক্ষণের জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
এসময় তিনি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে বাঘ টিকিয়ে রাখতে হবে। গত দুই বছর ধরে মানুষের আক্রমণে বাঘ মারা যায় নি। এটা খুবই ইতিবাচক। আন্তরিকতার সঙ্গে যদি আমরা কাজ করতে পারি তাহলে অবশ্যই বাঘ রক্ষ করা সম্ভব।
স্বাগত বক্তব্যে বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে বলেন, বাঘ বনের জীববৈচিত্র্য, খাদ্য শৃঙ্খল ও প্রতিবেশ চক্রের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। বন রক্ষায় রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই ‍বাঘ আমাদের দেশে টিকিয়ে রাখার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।
প্রধান বন সংরক্ষক ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অরুপ চৌধুরী, ওয়াইল্ড টিম বাংলাদেশের নির্বাহী প্রধান ড. এম আনোয়ারুল ইসলাম, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জোহান্স জাট।
থিম সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যদিয়ে সভা শুরু হয়। মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান।
‘বাঘ আমাদের জাতীয় গৌরব’ স্লোগান সামনে নিয়ে দিবসটি উপলক্ষে শুরুতে বাঘের নানা ফেস্টুন, ছবি নিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর থেকে। শেষ হয় ওসমানী মিলনায়তন চত্বরে এসে। এরপর মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এছাড়া শিশু একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।

আজ বিশ্ব বাঘ দিবস


(ওএস/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৪)