কবীর চৌধুরী তন্ময়


সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রাপ্ত কলম্বীয় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, প্রকাশক ও রাজনীতিবিদ গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষের তিনটি জীবন থাকে : একটি জনসমক্ষের জীবন, একটি ব্যক্তিগত জীবন, আরেকটি গোপন জীবন।’ আমার এই লেখায় আমি ‘জনসমক্ষের জীবন’কে গুরুত্ব দিতে চাই। কারণ, জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করবে বা জনগণকে যিঁনি স্বপ্ন দেখাবেন তাঁর ‘জনসমক্ষের জীবন’টি অন্য জীবনগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে। অথবা ব্যক্তিগত-গোপন জীবন বলে কিছু থাকবে না। জীবন ও জীবিকার বিষয়টি হতে হবে স্বচ্ছ যা জনগণ পরিস্কারভাবে পড়তে পারবে, পারবে ভালোভাবে বুঝতে ও জানতে।

স্থানীয় নির্বাচন হলেও ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন-২০২০ এটি এখন আর স্থানীয় নির্বাচন বলে মনে করার কোনও অবকাশ নেই। এখানে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। আর দলীয়ভাবেই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র প্রার্থীদের নিয়েই হৈ-চৈ কিংবা আলোচনা-সমালোচনা প্রতীয়মান। নির্বাচনী প্রচারের বিধিনিষেধ নিয়ে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে চলেছে সবাই। নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষও মৌখিকভাবে সতর্ক করা ছাড়া কাউকে কোনো ধরনের নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচনী আইন প্রয়োগ করতে দেখিনি। এমনকি, সরস্বতী পুজার অধিকার আন্দোলনের কাছে স্বয়ং নির্বাচন কমিশনও আইনকে পাশ কাটিয়ে ভোটের দিন-তারিখ পিছিয়ে দিয়েছে!

শুধু তাই নয়, বিএনপি’র মনোনীত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থী ইসরাক হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দুর্নীতির বিচারকাজ চলমান হলেও সে তার বাবা’র মতই মেয়র হতে চায়! তার বাবা কী ধরনের তছরুফ করেছে-এটি রাজধানীর সিনিয়র সাংবাদিক কিংবা ঢাকাবাসী অবগত। সাদেক হোসেন খোকা মেয়র থাকালীন কী ধরণের দুর্নীতি করেছেন, নগরবাসীর জীবনমান কীভাবে অসুস্থকর করে তুলেছেন-এটি ঢাকায় বসবাস করা মানুষজন ভুলে যায়নি। কিন্তু অবাক হলেও সত্য, ইসরাক একপ্রকার তার বাবার মত মেয়র হবো বলে তার দুর্নীতি করার স্বপ্নকেই যেন ঢাকাবাসীর সামনে তুলে ধরেছে!

জানা যায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দুদকে দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। একই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিশটি জারি করতে তাদের বাসভবনে যান। কিন্তু ইশরাক হোসেন সেখানে উপস্থিত না থাকায় উপস্থিত চারজনের (সাক্ষী) সামনে বাসভবনের নিচতলায় প্রবেশ পথের বাম পাশের দেওয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিশটি জারি করেন।

দুদকের দেওয়া ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইশরাক হোসেন সম্পদের হিসাব নির্ধারিত ফরমে দাখিল করেননি। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম।

২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন। ২০১৯ সালের ৯ ডিসেম্বর ইসরাক আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে (১৫ জানুয়ারি) অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজও শুরু হয়েছে। সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ ও চলমান বিচারকাজের পরেও একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারছে। এখানে নির্বাচন কমিশন যেন ঠায় দাঁড়িয়ে অসায়ত্ববোধ করছে।

অন্যদিকে বিএনপির মনোনীত উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের প্রার্থী তাবিথ মোহাম্মদ আউয়ালের অর্থ পাচারের রেকর্ড এখন আন্তর্জাতিকভাবে আলোচিত-সামালোচিত। শুধু তাই নয়, প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা ও দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার বিতর্ক শেষ হবার আগেই নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তাবিথ আউয়ালকে ঘিরে। অভিযোগ উঠেছে নির্বাচনী হলফনামায় সিঙ্গাপুরে থাকা মিলিয়ন ডলারের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এই প্রার্থী।

এ বিষয়ে আমিও ব্যক্তিগতভাবে আপীল বিভাগের (অব.) বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাহেবে সাথে (২৩ জানুয়ারি, ২০২০) নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বরাবর লিখিত অভিযোগ ও তাবিথের নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করার প্রমাণাদি প্রদান করেছি। ‘তাবিথের বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ নিয়ে ইসিতে বিচারপতি মানিক’ গণমাধ্যমের শিরোনাম সংবাদে রিপোর্টার তাবিথের মন্তব্য জানতে চাইলে উত্তরের বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী তাবিথ কৌশলে এড়িয়ে চলার নীতি গ্রহণ করে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সিঙ্গাপুরে নিবন্ধিত এনএফএম এনার্জি প্রাইভেট লিমিটেড নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তথ্য নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেননি তাবিথ আউয়াল। তবে সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড করপোরেট রেগুলেটরি অথরিটি (এসিআরএ) ও করপোরেট কমপ্ল্যায়েন্স অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল প্রোফাইল অফ এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেডের তথ্য বলছে, এনএফএম এনার্জিও রেজিস্ট্রেশন নম্বর হলো ২০০৮১৩৭২০সি। সিঙ্গাপুরে ২০০৮ সালে যৌথ মালিকানায় নিবন্ধিত এনএফএম কোম্পানির ১ হাজার শেয়ারের মধ্যে ৩৪০টি শেয়ারের মালিক তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল। বাকি ৬৬০টি শেয়ারের মধ্যে তাবিথের ভাই তাফসির মোহাম্মদ আউয়াল ৩৩০টি ও তাজওয়ার মোহাম্মদ আউয়াল ৩৩০টি শেয়ারের মালিক।

কোম্পানির প্রোফাইলে তাবিথ আউয়াল ও তার দুই ভাইয়ের পরিচয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে সিঙ্গাপুরের এক নাগরিককে এনএফএম এনার্জির (সিঙ্গাপুর) পরিচালক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

আর নির্বাচনী হলফনামায় তাবিথ তার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণাধীন যে ৩৭টি কোম্পানির তালিকা দিয়েছেন, সেখানে কিন্তু এনএফএম’র কোনো তথ্য দেওয়া নেই।

কিন্তু সিঙ্গাপুরের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড করপোরেট রেগুলেটরি অথরিটি (এসিআরএ) ও করপোরেট কমপ্ল্যায়েন্স অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল প্রোফাইল অফ এনএফএম এনার্জি (সিঙ্গাপুর) প্রাইভেট লিমিটেডের তথ্য বলছে, ‘ট্রেডিং ইন প্রাইমারি প্রডাক্টস অ্যান্ড প্রসেসড ফুড’ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এনএফএম এনার্জি। ব্যবসায়িক তৎপরতা হিসেবে উল্লেখ আছে ‘হোলসেল ট্রেড অফ এ ভ্যারাইটি অফ গুডস উইদাউট এ ডমিন্যান্ট প্রডাক্টস’-এর তথ্য। এনএফএম এনার্জি জ্বালানি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতেও বিনিয়োগ করে বলে জানিয়েছে এসিআরএ।

তথ্যে আরও প্রতীয়মান, বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড (বিপিসিএল) নামের প্রতিষ্ঠানে মালিকানা আছে এনএফএম এনার্জির। আর লাল তীর সিড লিমিটেডের মালিকানা আছে এনএফএম এনার্জিতে।

আর এনএফএম এনার্জির সাম্প্রতিক প্রকাশিত আর্থিক বিবরণী থেকে জানা যায়, কোম্পানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ২১ লাখ ৪৩ হাজার ২৬৭ মার্কিন ডলার।

অথচ, এনএফএম এনার্জি বিপিসিএল’র একটি বড় অংশের মালিকানার অধিকারী তাবিথ আউয়াল তার নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখই করেননি। এসিআরএ’র তথ্য বলে, এনএফএম এনার্জিতে লাল তীর সিডের মালিকানা আছে। তবে নির্বাচনী হলফনামায় এনএফএম এনার্জির তথ্য উল্লেখ করেননি উত্তরের মেয়র প্রার্থী এই তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল।

এখন দেখা যাচ্ছে, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোশেন নির্বাচনে বিএনপি’র প্রার্থী তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল ও ইসরাক হোসেন নৈতিকভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে অযোগ্য হয়েছেন। ইসরাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিচারকাজ চলমান এবং তাবিথের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন করার তথ্য-প্রমাণ যা আইনগত দিক থেকেও সে নির্বাচনের অযোগ্য।

পাঠক বন্ধুর স্মরণার্থে, পদ্মা সেতুর তথাকথিত দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার সাথে-সাথে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শুরু হয় অপপ্রচার! টেনে-হিচরে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করার নানা কুটকৌশলও গ্রহণ করা হয়। হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠে দুর্নীতি দমন কমিশন! পদ্মা সেতুর সাথে সংশ্লীষ্টরা বার বার তথাকথিত অভিযোগ যুক্তি-তর্ক আর তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অস্বীকার করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, হয় কানাডার আদালতেও! দেশীয় ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশ ও সরকার প্রধান শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কলঙ্ক লেপন করতে চেষ্টা করে। দুর্নীতির তথাকথিত অভিযোগ তুলে পদ্মা সেতু থেকে তখন ঋণ চুক্তিও বাতিল করে! কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ ও মতামতগুলো নিশ্চয় ভুলে যাওয়ার কথা নয়, ভুলে থাকার কথা নয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের টকশোর কথোপকথন!

শুধু পদ্মা সেতুর তথাকথিত ওই অভিযোগের পর একাধিক পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাকে তখন গ্রেফতারের পাশাপাশি সরিয়ে দেওয়া হয় একজন মন্ত্রীকেও! তাহলে ইসরাক হোসেনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক চলমান বিচারকাজ আর অস্বীকার না করা দুর্নীতি ও অবৈধভাবে দেশের টাকা বিদেশে পাচারকারী তাবিথ মোহাম্মদ আউয়াল ঢাকা দক্ষিণ-উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কীভাবে যোগ্য হয়-এটি নিশ্চয় ভোটার চিন্তাভাবনা করবেন বলে আমি আশাবাদী।

প্রশ্ন হলো, এতো দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের পরেও বিএনপি কেন ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য ইসরাক ও তাবিথকে বেছে নিয়েছে?

একান্ত খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি, বিএনপির বর্তমান হাইকমান্ড তারেক রহমান সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, ত্যাগ ও জনপ্রিয়তার চেয়ে অর্থের বিষয়টি বেশি প্রাধান্য দিয়েছে। কারণ, প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার জীবদ্দশায় খালেদা জিয়ার বিলাসী জীবন-যাপনের পাশাপাশি ‘হাওয়া ভবন’ ও ‘লন্ডন জীবন’-এর অর্থের অন্যতম জোগানদাতা ছিলেন। সেই সাথে ধনকুবের মালিক আব্দুল আউয়াল মিন্টুও তারেক রহমানের অন্যতম অর্থ জোগানদাতা। আর সে কারণেই মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ অনেক সিনিয়র, অভিজ্ঞ, যোগ্যতাসম্পন্ন নেতা নির্বাচনে আগ্রহী হলেও অবশেষে অনভিজ্ঞ, দুর্নীতিগ্রস্থ ইসরাক হোসেন এবং বিদেশে দেশের সাধারণ মানুষের অর্থ পাচারকারী তাবিথ মোহাম্মদ আউয়ালকে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী করেছে।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের গতানুগতিক নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচনী বিধিনিষেধ, আইনে ফাঁকফোকর থাকায় এই ধরনের অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। পিছিয়ে যাচ্ছে যোগ্য নেতৃত্ব ও নেতা। অবৈধ অর্থ দিয়ে নির্বাচনী মহড়া দিয়ে নিজেদের দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের কেলেঙ্কারি ঢাকার চেষ্টা করছে, করবে। তাই বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সময় উপযোগি করে গড়ে তুলতে হবে। পাশের দেশ ভারত বা বিশ্বের সাথে আমাদেরও প্রতিযোগিতা করতে হবে, অভিজ্ঞতা নিতে হবে। নির্বাচনী প্রার্থীকে বড় করে নয়, বরং তাদের নির্বাচনী বিধিনিষেধ ভঙ্গকে বড় করে দেখে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ, আইনের কঠোরতা প্রয়োগ করার মানসিক শক্তি ও নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

অবশেষে বলবো, ‘জনসমক্ষের জীবন’ যদি স্বচ্ছ আর গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে যতই অবৈধ অর্থবিত্ত আর প্রভাব প্রতিপত্তি কিংবা মিথ্যা আশ্বাস আর স্বপ্ন দেখানো হোক না কেন; জনগণ ঠিকই তার সঠিক মুল্যায়ণ করতে ভুল করবে না।

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)।