স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনের ১ হাজার ৩১৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮৭৬টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ (গুরুত্বপূর্ণ)। বাকি ৪৪২টি কেন্দ্রকে সাধারণ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, উত্তর সিটিতে ৮৭৬টি গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) কেন্দ্র রয়েছে। সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলেও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকবে ১৮ জন।

ইসি জানায়, নিরাপত্তার স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ছয়জন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই ও পাঁচজন এএসআই, কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার এবং ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (চারজন ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।

আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে অস্ত্রসহ চারজন পুলিশ (এসআই/এএসআই একজন ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার, ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (চারজন নারী ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে।

ইসির তথ্য অনুযায়ী, হাজারীবাগ থানার (৩৩ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ড) ১৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ, রামপুরা থানার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৭টি ঝুঁকিপূর্ণ।

মোহাম্মদপুর থানার ৭২টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ, শেরেবাংলার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে ৩৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪টি, আদাবর থানার ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি, তেজগাঁও থানার ৪০টি কেন্দ্রের ৪০টি ও হাতিরঝিলের ৬৭টি কেন্দ্রের ২৩টি ঝুঁকিপূর্ণ।

মিরপুরের ১২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২১টি, পল্লবীর ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৮টি, কাফরুলের ৯০টি কেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। শ্যামলীর ৪১টি কেন্দ্রের মধ্যে ২২টি, দারুসসালামের ৫৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪৩টি, রূপনগরের ৪২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ।

গুলশানের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২১টি, বনানীর ৪৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৪২টি, বাড্ডার ৮৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮টি, ভাটারার ৬৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি, খিলক্ষেতের ২৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১টি এবং ক্যান্টনমেন্টের ১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ২টি ঝুঁকিপূর্ণ।

উত্তর-পূর্ব থানার ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি ও উত্তর-পশ্চিম থানার ২৬টি কেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ। বিমানবন্দর থানার ১০টি কেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ, তুরাগ থানার ৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি, দক্ষিণখান থানার ৬২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬০টি ও উত্তরখান থানার ২৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২০)