আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বৈরী আবহাওয়ায় কোল্ড ইনজুরিতে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের বীজতলা ও রোপন করা ধানের চারা।

কয়েক দিনের কনকনে শীত, কুয়াশার বৈরী আবহাওয়ার কারণে কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকের ইরি-বোরো বীজতলা ও মাঠে রোপিত ধানের চারা।

কোল্ড উনজুরিতে আক্রান্ত হয়ে বীজতলার চারা ও রোপিত ধানের চারা হলুদ ও লালচে রং ধারণ করে আস্তে আস্তে মারা যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পরেছেন কৃষকেরা। বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকলে কোল্ড ইনজুরির কারণে চাষীদের বীজতলা ও রোপিত ধানের ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানান, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উপজেলায় মোট ৯হাজার ৬শ ৪৭হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে চাষাবাদ শুরু করেছেন কৃষকেরা। ইতোমধ্যেই কৃষকের রোপিত ধানের চারা ও বীজতলা তীব্র শীতের কারণে হলুদ বর্ণ হয়ে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে।

গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা গ্রামের কৃষক পসিম সন্যামত জানান, তার রোপিত বীজ ধানের চারা শীতের কারণে শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। বীজতলারও একই অবস্থা। এভাবে বীজতলা ও রোপিত ধান বীজ চারা নষ্ট হয়ে গেলে তার মতো অনেক চাষির পক্ষে পুনরায় বীজ সংগ্রহ জমিতে ধানের চারা রোপন করা সম্ভব হবে না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র শীত আর কুয়াশায় বীজতলার চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে। চাষিরা রাতের বেলা শীত থেকে চারা বাচানোর জন্য বীজতলা পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখছে। আবার কোথাও বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখছে কেউ কেউ। আবার কেউবা ছত্রাকনাশক স্প্রে করে চারা রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন বলেন, যে আবহাওয়া বর্তমানে আছে তােেত চারা মারা ডাবার নয়। অনেক চাষি বীজতলা থেকে তুলে রাখা দীর্ঘতিন যাবত দুর্বল বীজ লাগানোর কারণে চারা মারা যাচ্ছে। তারপরেও শীতের কারণে চারা মারা যাওয়াকে কোল্ড ইনজুরি সমস্যা জানিয়ে প্রতিরোধক হিসেবে রোপিত ধানের চারা ও বীজ তলায় প্রতি শতাংশে ৪০ গ্রাম ইউরিয়া সার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যাবে। অকারণে বীজতলা বা রোপিত চারায় কোন কীটনাশক ব্যবহার না করাই ভাল বলে জানান তিনি।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২০)