রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : অপহৃত অষ্টম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের নয় মাস উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আটক করা হয়েছে অপরণকারিকে। বুধবার সকাল নয়টার দিকে ঢাকার নারায়নগঞ্জ এর ফতুল্লা এলাকা থেকে তাদেরকে নিয়ে এসে অপহরণকারিকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙা মণ্ডলপাড়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক দিনমজুর জানান, একই উপজেলার তুয়ারডাঙা গ্রামের আব্দুল আহাদের ছেলে আলী রাজ তার মেয়ে ফকরাবাদ বালিকা বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া ও আসার পথে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি রাজ এর বাবা ও মাকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নি। একপর্যায়ে গত বছরের পহেলা মে সন্ধ্যার সময় তার মেয়েকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করা হয়।

এ ঘটনায় ৮ মে তিনি বাদি হয়ে রাজ, তার বড় ভাই ফারুক হোসেনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ আব্দুল আহাদকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠালেও রাজ ও ফারুককে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উদ্ধার করতে পারেনি অপহৃতাকে। একপর্যায়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক বিজন মণ্ডল গত বছরের ২৪ আগষ্ঠ এজাহারভুক্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। গত ডিসেম্বর মাসে আদালতে আসামী রাজ ও ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গোয়ালডাঙা গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল কাদের বলেন, মেয়েকে তার বাবা ও মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আব্দুল আহাদ ও তার পরিবারের সদস্যদের কাছে বার বার যেয়েও ব্যর্থ হন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা ।

একপর্যায়ে তারা কৌশলে ঢাকার নারায়নগঞ্জের ফতুল্লায় অবস্থানরত রাজ ও অপহৃতাকে বুধবার সকালে গোয়ালডাঙায় আনা হয়। পরে রাজকে থানায় সোপর্দ করা হয়। তবে মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল হওয়ায় উদ্ধার হওয়া নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে আদালতে জবানবন্দি ও সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যাপারে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক বিজন কুমার মণ্ডল জানান, আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকলে রাজকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজকে পাঠানো হবে। তবে ভিকটিমের ব্যাপারে করনীয় সম্পর্কে আদালতই সিদ্ধান্ত নেবে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ২৯, ২০২০)