স্বাস্থ্য ডেস্ক : করোনাভাইরাসের কারণে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আপাতদৃষ্টিতে নিরাপদ মনে হলেও কতটা সময় এই অবস্থা থাকে, তাই এখন চিন্তার বিষয়। এমনিতেই এখন ঋতুবদলের সময়। এসময় সর্দি-কাশি-জ্বর ইত্যাদি হতেই পারে। এই পরিস্থিতিতে ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে মেনে চলতে হবে বাড়তি সতর্কতা-

খাওয়াদাওয়া আর ঘুমের সঙ্গে কোনো সমঝোতা করবেন না। শরীর যেন ভেতর থেকে শক্তপোক্ত থাকে, সে বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। হালকা ব্যায়াম করাটাও জরুরি। ব্যায়াম না পারলে অন্তত হাঁটাহাঁটি। তবে খুব সকালে বা সন্ধের পর খোলা মাঠে হাঁটলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা দেখে নেবেন- এই দুই সময়েই বাতাসের দূষণকণা নিচে নেমে আসে।

সর্দি-কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে পরতে পারেন মাস্কও। তবে তার যথাযথ ব্যবহার শিখে নিন আগে, মাস্ক স্টেরিলাইজড না থাকলেও কিন্তু মুশকিলে পড়বেন। একান্ত মুখ-নাক ঢেকে রাখা সম্ভব না হলে টিস্যু বা ন্যাপকিন ক্যারি করুন।

কাশির মাধ্যমে জীবাণু ছড়ায় হু হু করে। তাই যখনই কাশি হবে, মুখ ঢেকে রাখুন ন্যাপকিনে। অফিসে কারও সর্দি-কাশি হলে দূরত্ব বজায় রাখুন। শরীর খারাপ লাগলে ছুটি নিন, অসুস্থ শরীরে অফিস গেলে সমস্যা আরও বাড়বে, কমবে না।

বারবার হাত ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে, বিশেষ করে কারও সঙ্গে হাত মেলানোর পর। আপনার হাতেও অসুখের জীবাণু অন্তত ঘণ্টা তিনেক বেঁচে থাকতে পারে। তাই এই সময়টায় অন্তত কোনো রিস্ক নেওয়ার প্রয়োজন নেই।

আপনি যে সিটে বসছেন, কম্পিউটারে কাজ করছেন, ফোন ব্যবহার করছেন- তার সব কিছুতেই জীবাণু থাকতে পারে। তাই প্রতিটি সারফেস পরিষ্কার রাখুন।

এরপরেও যদি কোনো ভাইরাসের আক্রমণের মুখে পড়েন তাহলে প্রথমেই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। একদম সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে, আর এই সময়টায় যত কম মানুষের সংস্পর্শে আসবেন তত ভালো।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০)