রণেশ মৈত্র


২৩ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি হেগ থেকে কি খবর আসে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে নেদারল্যা- সের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মোকর্দমা দায়ের করেছিল ম্যধপ্রাচ্যের অখ্যাত দেশ গাম্বিয়া। অভিযোগ উত্থাপন করেছিল মিয়ানমারের সুকির নেতৃত্বাধীন আধা-সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ গণহত্যার। গাম্বিয়া বলেছিল, ধর্মীয় ও গোষ্ঠীগত আক্রোসে মিয়ানমার সরকার মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের উপর চালিয়েছে নিমর্ম গণহত্যা, নির্য্যাতন, নারী ধর্ষণ,অগ্নিকা-, বাড়ীঘর পুড়িয়ে দেওয়া, নিজেদের সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ প্রভৃতি।

তার শুনানী শুরু হলে গাম্বিয়ার প্রতিনিধি ধীর স্থিরভাবে তাঁর আনা অভিযোগগুলি দৃঢ়তার সাথে প্রমাণাদি সহ সকল তথ্য তুলে ধরে আদালতের কাছে প্রার্থনা করেন প্রথমত: একটি অন্তবর্ত্তীকালীন আদেশ দিয়ে মিয়ানমার সরকার ও তাদের বাহিনী সমূহকে ঐ নির্মম গণহত্যা বন্ধ, হাজারো অত্যাচার ও নির্যাতনের ফলে যে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা দেশত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন, তাদের সকলকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের ফেলে আসা সম্পত্তিতে তাদের দখল ফিরিয়ে দিয়ে সম্মানজনক পুনর্বাসনের ব্যবস্থার নির্দেশ দিতে। যে সকল সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তারা মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের উপর দীর্ঘকাল ধরে নির্মম নির্য্যাতন চালিয়েছেন তাদেরকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আই সি জি তার ঐতিহাসিক আদেশে বলেছে, রোহিঙ্গা গণহত্যা এখনই থামাতে হবে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় জরুরী ভিত্তিতে চারটি অন্তর্বতীকালীন পদক্ষেপ নিতে হবে মিয়ানমারকে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালের জেনোসাইড বলভেনশন লংঘনের দায়ে দেশটির বিরুদ্ধে গত বছর আফ্রিকার গাম্বিয়া কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার রায়ে আই.সি.জে’র ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল প্রদত্ত ঐ আদেশে আরও বলেন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বা অন্য কোন পক্ষ এমন কিছু করতে পারবে না যা গণহত্যা হিসেবে গণ্য হতে পারে। তদুপরি রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ নেওয়া হলো সে বিষয়ে প্রতিবেদন আগামী চার মাসের মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে।

এছাড়াও, মামলার প্রক্রিয়া চলাকালীন ছয় মাস পর পর এ বিষয়ে হালনাগাদ সঙ্গে গণহত্যার সংশ্লিষ্ট সাক্ষ্য প্রমাণ ধ্বংস না করা ও তা সুরক্ষায় কার্য্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আদেশ দেন আদলত।

আই সি জে’র প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আবদুল কাবি আহমেদ ইউসুফ সব বিজচারকের অভিন্ন এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেন, ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা। রোহিঙ্গা সুরক্ষায় আদালতের এ আদেশ বাধ্যতামূলক এবং এর অন্যথা হবে আন্তর্জাতিক বিধির লংঘন।

এরপর বিচারকের সিদ্ধান্ত বিষয়ে কোন মন্তব্য ছাড়াই আদালত ছেড়ে যান মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল।
উল্লেখ্য, ১৭ বিচারকের প্যানেলে মিয়ানমার মনোনীত একজন অস্থায়ী বিচারকেরও মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গৃহীত এই সিদ্ধান্তসমূহের সাথে ঐকমত্য প্রকাশ করেন।

এই আদালতকে স্বীকার করে নিয়েছিল মিয়ানমার সরকারও ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) হলো জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত এবং সকল দেশই যারা সংশ্লিষ্ট কনভেশনে স্বাক্ষর করেছে ঐ আদালতের রায় মানতে আইনত: ও ন্যায়ত: বাধ্য।

মিয়ানমারের আদা সামরিক সরকারের নির্বাচিত বেসামরিক নেত্রী, নোবেল জয়ী অং সাং শু চি স্বয়ং গিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে অর্থাৎ তিনি মেনে নিয়েছিলেন ঐ আদলতকে এবং মোকর্দমাটির বিচার সংক্রান্ত আইন কানুনকে। তিনি প্রথমে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে মোকর্দমাটির বাতিল আদেশ চান আদালতের কাছে। আদালত উল্টো মিয়ানমার সরকারের ঐ আবেদনটিকেই বাতিল করে দেন।

এর পরই শুরু হয় মোকর্দমার শুনানী। বাদী গাম্বিয়া সরকার মনোনীত প্রতিনিধিরা তাঁদের তাবৎ অভিযোগ সবিস্তারে তুলে ধরেন। শুধু তাই নয়, তাঁরা তাঁদের বক্তব্যের বা অভিযোগ সমূহের পক্ষে সাক্ষ্য প্রমাণাদিও আদালতে পেশ করেন। দিন কয়েক ধরে চলে বাদী পক্ষের অভিযোগ উত্থাপন এবং তার অনুকূলে তাঁদের সংগ্রহীত সাক্ষ্য প্রমাণাদি দাখিলে।

অতঃপর মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে ঐ সরকারের বক্তব্য তুলে ধরেন মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতা অং সাং শু চি। তিনি গাম্বিয়ার সকল অভিযোগ স্বীকার না করে কিছু কিছু বক্তব্যে সায় দিয়ে সেগুলিকে মামুলি বলে অভিহিত করেন। অং শাং শু চি যে কথাগুলি বলেন, তা শুনে বিশ্ববাসী তাঁকে ধিক্কার জানান। শান্তির জন্যে নোবেল পুরস্কার জয়ী ও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘকাল ধরে কারারুদ্ধ এই নেত্রীর বক্তব্য (এবং আদালতের সকল কিছুই লাইভ প্রচার করা হচ্ছিল বিশ্ব ব্যাপী টেলিভিশনে) ছিল সবার কাছেই অপ্রত্যাসিত। তিনি নগ্নভাবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সকল ঘৃণ্যকার্য্যক্রমকে সমর্থন জানান এবং সমগ্র রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িক করেন ও তাদের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ বা হত্যা বা দেশত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগকেও অস্বীকার করেন। এমন কি তিনি “রোহিঙ্গা” শব্দটিও তাঁর দীর্ঘ বক্তব্যে একবারও উল্লেখ করেন নি। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন তারা বাঙালি এবং বাংলাদেশের নাগরিক। তারা বাংলা বাষাভাষিও বটে।

সূচি ছাড়াও বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের পক্ষ থেকে অনুরূপ বক্তব্য উত্থাপন করেন। উগাত্তা দাবী করেছিলো আদালত যেন একটি অন্তবর্তী আদেশ দিয়ে মিয়ানমার সরকার, সেনাবাহিনী ও অপরাপপর বাহিনীকে দেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গদের উপর কোন প্রকার অত্যাচার না করতে বা দেশত্যাগীদের ফেলে যাওয়া বাড়ীঘর জবরদখল করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেন। আন্তর্জাতিক আদালত গাম্বিয়ার এই আবেদনও মঞ্জুর করেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের এই রায় মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মিয়ানমার সরকার কিন্তু তারা গুরুতর প্রশ্নেরও চাপের মুখোমুখি হয়েছে এ কারণে যে আন্তর্জাতিক আদালতটি হলো জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত। সকল দেশই এই আদালতের রায় মানতে বাধ্য। হয়তো মিয়ানমার সরকার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিশ্বে তার কি প্রতিক্রিয়া হয় সেটা পরখ করছেন। তবে তাদের সুর নরম সন্দেহ নেই।
কিন্তু সামরিক কর্মকর্তারা যদি শেষ পর্য্যন্ত আন্তর্জঅতিক আদলতের রায়টি মানতে না-ই চান তবে কী হতে পারে তা নিয়ে নানাবিধ মতামত দেশ-বিদেশের গণ মাধ্যম সমূহে গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হচ্ছে।

সম্প্রতি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি বিশিষ্ট জাতীয় দৈনিক লিখেছে:

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা এবং সেখানে গণহত্যার তদন্তে সহযোগিতার জন্য মিয়ানমারকে নির্দেশ আন্তর্জতিক ন্যায় বিচার আদালত (আইসিজে)। এ জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা নিয়মিত আদলতকে জানাতেও মিয়ানমার সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রথম দফায় এই প্রতিবেদন পাঠাতে হবে রায়ের চার মাস পর এবং তারপর প্রতি ছয় মাস পর পর রায়টি কার্য্যকর করতে যা যা করা হচ্ছে তার প্রতিবেদন নিয়মিত পাঠাতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে প্রশ্ন মিয়ানমার এ আদেশ না মানলে কী হবে।

ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অন জুরিষ্টের বৈশ্বিক জবাবদিহিতা উদ্যোগের জোষ্ঠ আইন উপদেষ্টা এবং সমন্বয়ক কিংসলে অ্যাবট সাউথ চায়না মর্নিং পোষ্টকে বলেন, “বৃহস্পতিবারের আদেশটি গুরুত্বপূর্ণ” কারণ গণহত্যা কনভেনশন অনুসারে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার বাধ্য বাধকতা পালন করছে কি না তার উপর আদালতের বিচারিক নজরদারী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমার এ আদেশ মানতে বাধ্য। এলক্ষ্যে মিয়ানমার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা আদালতে নিয়মিত জানাতে হবে। দেশটি আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতা মেনে চলার জন্য ভীষণ চাপে থাকবে। কারণ জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদলত এ আদেশ দিয়েছেন এবং এর এখতিয়ার দেশটি ইতিমেধ্যেই মেনে নিয়েছে।

তবে মিয়ানমার নেদারল্যা-সের হেগে অবস্থিত জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতের আদেশ মানতে অস্বীকৃতি জানালে কী হবে? দেশটির দাবী সেখানে গণহত্যার ঘটনা ঘটে নি। সর্বোপরি মিয়ানমারের সাবেক সামরিক জান্তা আন্তর্জতিক চাপ এড়াতে দশকের পর দশক দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতেই পছন্দ করেছে।

এশিয়া জাষ্টিস কোয়ালিশান সেক্রেটারিয়েটের প্রদান এবং আন্তির্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ প্রিয় পিন্নাই বলেন, মিয়ানমার এ আদেশ না মানলে তা আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াবে এবং এটা তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদে যেতে পারে। ফলে এ আদেশ না মানা মিয়ানমারের স্বার্থের অনুকূলে যাবে না। এটা আদালতের সর্বসম্মত আদেশ।

রোহিঙ্গা নিয়ে নিমিত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে বলে মিয়ানমারকে দীর্ঘ সময় চাপে থাকতে হবে। পূর্ণাঙ্গ রায় পেতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। মিয়ানমারের প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও চাপ আনবে। যেমন মালয়েশিয়া বলেছে, এ আদেশে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রতিফলিত হয়েছে এবং রোহিঙ্গা নিপীড়নের বিচার হওয়া দরকারও।

হিউম্যান রাইটাস ওয়াচ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িতদের অন্যতম আন্যা দিয়ে বলেছে, রাখাইন রাজ্যে অবস্থান করা বাকী রোহিঙ্গাদের সুরক্ষায় এ আদেশ গুরুত্বপূর্ণ।

অবশ্য কোন কোন বিশেষজ্ঞ এমন আশংকাও করছেন, আইসিজের আদেশকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আবার হামলা চালাতে পারে। এক্ষেত্রে উগ্র বৌদ্ধদেরও ব্যবহার করতে পারে তারা।

রাখাইন রাজ্যের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্য্যবেক্ষণকবারী আরকান প্রজেক্টের পরিচালক ক্রিস লিওয়া বলেছেন, সরকার কি প্রতিক্রিয়া দেখার সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। অং সাং শু চি’র সরকার রাখাইনে ভয়াবহ অপরাধের কথা স্বীকার করলেও, গণহত্যার অভিযোগ মেনে নেয় নি। আই সি জে ও জাতিসংঘের তদন্তকারীদের রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আদেশ দেন নি। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গণহত্যার আলামত নষ্ট করে ফেলতে পারে মিয়ানমারের সেনাবাহিন। তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্তকারীদের অবাধে তদন্ত চালানোর সুযোগ থাকতে হবে।

লন্ডনের খ্যাতনামা গবেষণা প্রতিষ্ঠান চাথাম হাউসের এশিয়া প্যাসিফিক প্রোগ্রামের পরিাচালক ড. চম্পা প্যাটেন্স বলেছেন, এ আদেশ সত্যিই যুগান্তকারী। মামলটি দেখালো, একটি ছোট্ট দেশও কীভাবে আন্তর্জাতিক আইনে অন্য দেশকে জবাদিহির আওতায় আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। মিয়ানমার এ আদেশ না মানলে নিরাপত্তা পরিষদ তা মানতে বাধ্য করার প্রস্তাব পাশ করতে পারে তবে তাতে চীন হয়তো জোট দেবে।

আই সি জে’র আদেশকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আদলতের নির্দেশ মেনে মিয়ানমারের সেনবাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী যেন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধে না জড়ায়।

আই সি জে’র আদেশকে প্রত্যাখ্যান করে মিয়ানমার সরকার বলেছে, তাদের নিজস্ব তদন্তে যুদ্ধাপরাধের প্রমাণ মিললেও গণহত্যার আলামত পাওয়া যায় নি। যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে দেশটির নিজস্ব আইনে। অং সাং সু চি বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচারের জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। দেশটির ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রোসীর মুখপাত্র মাই ও নাইযুন্ট বয়টার্সকে বলেছেন, আদালত রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার যে সব নির্দেশ দিয়েছে, তা তো মিয়ানমার আগেই বাস্তবায়ন হয়েছে।

এসব যাই হোক মিয়ানমারকে আজ হোক-কাল হোক আদলতের নির্দেশ মানতেই হবে। গড়িমসি করতে তো পারেই আবার সরকারের মধ্যে নানা মতের সৃষ্টি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তাই আশাবাদী হওয়ার কারণও প্রচুর।

লেখক : রণেশ মৈত্র, সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত।