মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর গ্রামে রবিবার ভোররাতে মো. রায়হান (২৮) নামের এক স্বামীর পুরষঙ্গ কেটে ফেললোর চেষ্টা করেছে স্ত্রী। এসময় স্ত্রীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে পুরষাঙ্গের বেশির ভাগ অংশ কেটে গিয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর গ্রামের ইউসুফ সরদারের মেয়ে কুনসুম আক্তার এর সাথে সম্পর্কের জের ধরে দুই বছর আগে বিয়ে হয় ফরিদপুর জেলার দয়ারামপুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে মো. রায়হানের। বিয়ের পর থেকেই দুজনের মধ্যে মনমালিন্য লেগেই ছিলো।

শনিবার ফরিদপুর থেকে রায়হানকে শ্বশুরবাড়ী মাদারীপুরে ডেকে নিয়ে আসে স্ত্রী। রাতে দুজনে একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর রাত সাড়ে তিনটার দিকে রায়হান ঘুমিয়ে থাকলে স্ত্রী ধারালো অস্ত্র দিয়ে হঠাৎ করে পুরষাঙ্গ কেটে ফেলার চেষ্টা করে। এতে রায়হানের পুরষঙ্গের বেশির ভাগ অংশ কেটে যায়। এসময় পরিবারের লোকজন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে এনে রায়হানকে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

তবে ঘটনার পর থেকে স্ত্রী কুনসুম ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘর তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে।
নাম না প্রকাশে আহত রায়হানের এক আত্মীয় বলেন, বিয়ের কিছুদিন পরে রায়হান জানতে পারে স্ত্রী কুনসুমের সাথে অন্য ছেলের সম্পর্ক আছে। এ বিষয়টি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে মনমালিন্য চলছিল। কুনসুম বাবার বাড়ি ছিলেন। শনিবার রায়হানকে মাদারীপুরে ডেকে এনে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোস্তাফিজুর রহমান লেলিন বলেন, ভোরে রায়হান নামের এক যুবক হাসপাতালে আসে পুরষাঙ্গে কাটা নিয়ে। আমরা তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. সওগাতুল আলম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। যদি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি অভিযোগ দেয়, তা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিব।

(এএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২০)