স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৯ সালে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৪ হাজার ৭৪ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ও দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৮৬ জন। পাশাপাশি ৩৩০ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৪ টাকা সম্পদহানি হয়েছে। বিশাল এ ক্ষতি অপূরণীয়।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ইলেকট্রনিক্স সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসাব) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, ২০১৯ সালে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারে চুড়িহাট্টা, ভাষানটেক বস্তি, কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানা, গাজীপুরের ফ্যান তৈরির কারখানাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৪ হাজার ৭৪ টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে ও দগ্ধ হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫৮৬ জন। পাশাপাশি ৩৩০ কোটি ৪১ লাখ ২৮ হাজার ৭৪৪ টাকা সম্পদহানি হয়েছে।

বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, বর্তমানে দেশে ৩৫৪টি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন আছে। একটি প্রকল্প চালু আছে তা শেষ হলে ৫৬৭ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন চালু করা হবে। তখন প্রত্যেকটি উপজেলাতে একটি করে ফায়ার স্টেশন থাকবে।

সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ১১টি মর্ডান ফায়ার সার্ভিস স্টেশন করা হয়েছে। এখানে ৬৮ মিটার টিটিএল লেডার সংযোজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে অগ্নিনির্বাপণে ২২ তলা থেকে ২৫ তলা পর্যন্ত উচ্চতায় কাজ করা যাবে।

তিনি বলেন, আগুন লাগার পরে সুউচ্চ ভবন থেকে নামার জন্য গত ২৪ নভেম্বর তিনটি জাম্পিং কুশন সংযোজন করা হয়েছে। পুরান ঢাকায় সরু রাস্তায় কাজ করার জন্য দু’টি রিমোট কন্ট্রোল ফায়ার ফাইটিং ভেহিকেল সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো ব্যবহারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।

রাজধানীতে যেসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ আছে। আমরা যেগুলো নোটিশ দিয়েছিলাম ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে। সেই তালিকা দেখে অতি শিগগিই ওই সব ভবনের ফলোআপ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসাবের সভাপতি মো.মোতাহার হোসেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০)