স্টাফ রির্পোটার : সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুরে রবীন্দ্রনাথের কাচারিবাড়ির সৌন্দর্য  রক্ষায় ওই বাড়ির কাছে গড়ে উঠা স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক সৌন্দর্য রক্ষার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে দুই আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
আগামী রোববার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
রিট আবেদনে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে কাছারিবাড়ি-সংলগ্ন সব ধরনের বেআইনি স্থাপনা অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কাছারিবাড়ি-সংলগ্ন চলমান নির্মাণ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া কাছারিবাড়ির কাছে যেকোনো ধরনের নির্মাণ কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আরজি জানানো হয়েছে এতে। আবেদনে সংস্কৃতিসচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ ১১ বিবাদী করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট ‘নিষেধ অমান্য করে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি ঘেঁষে উঠছে ভবন’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনটি যুক্ত করে রিট আবেদন করা হয়।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, ২০০৯ সাল থেকে ওই ভবন নির্মাণ বন্ধ করার জন্য প্রশাসন নোটিশ দিয়ে আসছে। প্রশাসনের ওই নোটিশের কোনো তোয়াক্কা না করে কুঠিবাড়ীর ১০ ফুটের মধ্যেই বেসরকারি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান পঞ্চম তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছে।
আইনজীবী জানান, এর ফলে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রত্নতত্ত্ব আইন ১৯৬৮-এর ১২ ও ১৩ ধারা অনুসারে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য রক্ষার জন্য এর আশপাশে এমন কোনো স্থাপনা করা যাবে না, যাতে এর সৌন্দর্য নষ্ট হয়। সংবিধানের ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে, ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। আইন অনুসারে এটি একটি গ্যাজেটকৃত ঐতিহাসিক স্থাপনা।
(ওএস/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৪)