স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ৫০ শতাংশই ছিল তিন খাতের কোম্পানির দখলে। এই তিন খাত হলো- ওষুধ ও রসায়ন, প্রকৌশল এবং বস্ত্র খাত।

ডিএসইর খাতভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে দেখা যায়, তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মোট ২২টি খাতে বিভক্ত। এর মধ্যে লেনদেন হয় ১৯টি খাতের।

সোমবার ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। দিনভর এ খাতের কোম্পানিগুলোর ৫৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।

লেনদেনে বড় ভূমিকা রাখলেও এ দিন ওষুধ ও রসায়ন খাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এ খাতের ১৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। বিপরীতে দাম বেড়েছে ১২টির। আর তিনটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

লেনদেনে দ্বিতীয় স্থান দখল করা প্রকৌশল খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। লেনদেনের পাশাপাশি দাম বাড়ার তালিকাতেও দাপট দেখিয়েছে এ খাত। লেনদেনে অংশ নেয়া ২০টি কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ১৬টির।

লেনদেনে বড় ভূমিকা রাখা বস্ত্র খাত অন্তর্ভুক্ত কোম্পানিগুলোর ৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ দিকে লেনদেনে অংশ নেয়া এ খাতের ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার বিপরীতে দাম কমেছে ২৬টির।

এছাড়া অন্য খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ২২ কোটি ৫২ লাখ, সিমেন্টের ২২ কোটি ৩৭ লাখ, বিমার ২১ কোটি ৭ লাখ, ব্যাংকের ১৭ কোটি ৫৬ লাখ, খাদ্যের ১৪ কোটি ৫৮ লাখ, বিবিধের ১৪ কোটি ৫০ লাখ, তথ্য প্রযুক্তির ১৩ কোটি ৩১ লাখ, টেলিযোগাযোগের ৮ কোটি ৯১ লাখ, আর্থিকের ৫ কোটি ৮১ লাখ, সিরামিকের ৫ কোটি ৪১ লাখ, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৫ কোটি ৩৬ লাখ, চামড়ার ৫ কোটি ২৫ লাখ, পাটের ৫ কোটি, সেবা ও আবাসনের ২ কোটি ৬৪ লাখ, কাগজ ও মুদ্রণের ১ কোটি ৪২ লাখ এবং ভ্রমণের ১ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০)