নিউজ ডেস্ক : ইনোভেশন প্লেস বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির একটি বিশেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নতুন বছরের জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত এ চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক নিবন্ধনকৃত প্রায় ৫০ লাখ রোগীর ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) পরীক্ষা করবে ইনোভেশন প্লেস বাংলাদেশ। কৃত্রিম বুদ্ধিভিত্তিক সফটওয়্যার myHealth TM (myhealth.co.bd) এর সাহায্যে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) পরীক্ষার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ লোক অকাল অন্ধত্ব থেকে রক্ষা পাবে।

ইনোভেশন প্লেস বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সি ই ও নিউইয়র্কের Eye and Ear Infirmary, Icahn School of Medicine at Mount Sinai এর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলাউদ্দীন ভূঁইয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) স্ক্রিনিং সফটওয়্যার নির্মাণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই টুলসের নিরীক্ষণ নির্ভুলতার পরিমাণ প্রায় ৯৮% । আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে বা শুরুতেই প্রতিরোধক ব্যবস্থা গ্রহণ করে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) আক্রান্ত রোগীদের ৯০% কে অন্ধত্ব থেকে রক্ষা করা যায়। এই সফটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন অব রিসার্চ অ্যান্ড ভিশন (এআরভিও) এর কর্তৃক বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত ও অনুমোদিত।

বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ লোক ডায়েবেটিস আক্রান্ত এবং এর একটা অংশ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) সংশ্লিষ্ট অন্ধত্বের হুমকির সম্মুখীন। বর্তমানে প্রায় ২৭% ডায়াবেটিক রোগী বিভিন্ন ধরনের ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) এ আক্রান্ত (আইডিএফ এর রিপোর্ট অনুযায়ী আনুমানিক ২৯ লক্ষ ৭০ হাজার)।

এ বড় সংখ্যক রোগীর ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) স্ক্রিনিং করার জন্য দরকার নির্ভুল, অটোমেটিক এবং কার্যকরী টুলস দরকার, আর যা রয়েছে myHealth TM এর মধ্যে। এটি প্রাথমিক পর্যায়ের ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর) নিরীক্ষণ এবং প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

বাংলাদেশে প্রতি মিলিয়নে মাথাপিছু চক্ষু বিশেষজ্ঞের যে সংখ্যা রয়েছে তা অত্যন্ত নগন্য এবং অনুপাত প্রায় ৪:১ মিলিয়ন, যা চাহিদার তুলনায় খুব কম। বাস্তব বুদ্ধিসম্পন্ন এই সিস্টেম চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কার্যকরভাবে সহায়তা করতে পারে, যা চক্ষু বিশেষজ্ঞের ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করবে। চিকিৎসকরা এই সিস্টেম থেকে রোগীর তথ্য, রেটিনা ইমেজ এর তথ্য এবং চোখের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে সহজেই আগাম তথ্য পেতে পারেন। ফলে তারা অনেক কম সময়ে অনেক বেশি রোগীকে সঠিকভাবে সেবা দান করতে পারবেন।

রেটিনাল ক্যামেরা ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধাসম্বলিত ভ্রাম্যমাণ বাস এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও গ্রাহকরা এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০)