স্পোর্টস ডেস্ক : গতবছরের নভেম্বরে মাত্র সপ্তাহদেড়েকের নোটিশে ভারতের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। কোনোরকমের প্রস্তুতি ছাড়াই গোলাপি বলের ক্রিকেট খেলতে নেমে পরিণতিটাও হয়েছিল যাচ্ছেতাই। হারতে হয়েছিল ইনিংস ব্যবধানে।

কলকাতার ইডেন গার্ডেনে ভারতের এক ইনিংসে করা ৩৪৭ রান, দুইবার ব্যাটিং করেও করতে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ইনিংসের একটিতেও ২০০ পেরোয়নি দলের সংগ্রহ। মুশফিকুর রহীমের ৭৪ রানের ইনিংসটি ছিলো দলের একমাত্র চল্লিশ পেরুনো ব্যক্তিগত সংগ্রহ।

সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে রাজি হয়নি বিসিবি। রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে হেরে দেশে ফিরেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল এপ্রিলে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি দিবারাত্রির ম্যাচ খেলার জন্য। তবে এবার আর বিনা প্রস্তুতিতে গোলাপি বলের ক্রিকেটে খেলতে রাজি হয়নি বিসিবি।

শীর্ষস্থানীয় এক জাতীয় দৈনিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রস্তুতির অভাব থাকায় টিম ম্যানেজম্যান্টের পক্ষ থেকে দিবারাত্রি টেস্ট খেলার ব্যাপারে মত পাওয়া যায়নি।

বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ‘আমরা টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, প্রস্তুতির ঘাটতি থাকায় এখন দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে আগ্রহী নয়। বোর্ডের তাদের অবস্থান বুঝতে পেরেছে। এছাড়া অন্য সব দিক বিবেচনা করে পাকিস্তানে দিবারাত্রির টেস্ট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এখনও পর্যন্ত মাত্র একটিই দিবারাত্রির টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তান গোলাপি বলের টেস্ট খেলেছে ৪টি। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে দুইটি, শ্রীলঙ্কার কাছে একটি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১৬ সালে দিবারাত্রির টেস্টে জয় পেয়েছিল তারা।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০)