সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ সুন্দরবনের বনজ ও নদী সম্পদ আহরণ করে সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলার উপকুলবর্তী মানুষজন জীবিকা নির্বাহ করে। আর এ সুন্দরবন রক্ষায় রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিশেষ ভূমিকা রেখে থাকে।

একটি বিশেষ মহল সুন্দরবনের গাছ কেটে, বাঘ ও হরিণ শিকার করে ক্ষতিসাধন করছে। কয়েকটি বনদস্যু গ্রুপ সুন্দরবনে কর্মরত বনজীবিদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের নামে ত্রাসের রাজত্ব গড়ে তুলেছে। এটা মেনে নেওয়া হবে না। বাঘ সংরক্ষণ না করতে পারলে একদিন সুন্দরবন বিপন্ন হবে। যার প্রভাব পরিবেশের উপর পড়লে প্রাকুতিক বিপর্যয়ে সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ টাইগার পয়েন্টে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংসদ এসএম জগলুল হায়দার এসব কথা বলেন।
বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ-খুলনা আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার নির্মল কুমার পাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারি বনসংরক্ষক (এসিএফ) কেরামত আলী মল্লিক, কালীগঞ্জ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বলেন, সুন্দরবনের বনদস্যুদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের অভিযান বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে সুন্দরবন বাঁচান, বাঘ বাঁচান এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে টাইগার পয়েন্ট থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে মুন্সিগঞ্জ এলাকার কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে শেষ হয়।
(আরকে/এএস/আগস্ট ০৭, ২০১৪)