দীপক চক্রবর্তী, মাগুরা : ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ মাগুরা-ঝিনাইদহ ৪ লেন বিশিষ্ট সড়কের নির্মান কাজ যথা সময়ে শেষ না হওয়ায় চরম জনদুর্ভোগ তৈরী হচ্ছে। চলতি বছরের ১৫ মার্চ এই কাজ শেষ হবার কথা। যা শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে। এরই মধ্যে দু’বার সময় পিছিয়ে সর্বশেষ ১৫ মার্চ এই কাজ সম্পাদনের তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু কাজের ধীরগতি ও সড়কের অধিগ্রহনকৃত ১ কিলোমিটার জায়গা নিয়ে মামলা থাকায় যথা সময়ে কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে না।

অন্যদিকে গোটা ৮.৮ কিলোমিটার সড়কের যে টুক কাজ শেষ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সড়ক ও জনপদ বিভাগ দাবি করেছে সেখানে কাজ নি¤œমানের হওয়ায় অনেক স্থানে ক্ষত ও গর্ত তৈরী হয়েছে। ভেঙ্গে গেছে ডিভাইডার। তড়িঘড়ি করে এসব ডিভাইডার ও ক্ষত স্থানে নতুন করে সংস্কারের প্রয়োজন হওয়ায় কার্য সম্পাদন আরো পিছিয়ে গেছে।

এ দিকে ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক নির্মানে দীর্ঘ ৪ বছর সময় লাগায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌছেছে। প্রতিনিয়োত রাস্তা খোড়াখুড়ি ও কাজের প্রয়োজনে রাস্তা সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় একদিকে যেমন যানযট তৈরী হচ্ছে। তেমনি সড়ক এলাকায় ব্যবসায়ী ও প্রান্তিক কর্মজীবীরা পড়েছেন চরম সংকটে।

২০১৬ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মাধ্যমে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এম এম বিল্ডার্স মাগুরার রামনগর থেকে পুলিশ লাইন্স পর্যন্ত ৮.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক নির্মানের কাজ শুরু করে। যার মধ্যে পারনান্দুয়ালী থেকে পুলিশ লাইন্স পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার চার লেনের। বাকি অংশ দুই লেনের। দুই লেনের ৪.৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু ৪ লেনের রাস্তা নির্মানে ধীর গতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে শুরু থেকেই। এছাড়া ঢাকা রোড বাস স্ট্যান্ড এলাকার এক ব্যক্তি অধিগ্রহণকৃত জমির উচ্চ মূল্যের দাবীতে আলাদতে মামলা করায় জটিলতা তৈরী হয়েছে।

এছাড়া ইতিমধ্যে শেষ হওয়া কিছু অংশে ফাটল ও গর্ত দেখা দেয়ায় নতুন করে সংস্কার প্রয়োজন হয়েছে। একই অবস্থা চার লেনের মাঝখানে দেয়া ডিভাইডারের অংশই ভেঙ্গে যাওয়ায় চলছে নিত্যদিনের সংস্কার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক স্থানেই ডিভাইডারে চলছে সংস্কার কাজ। এছাড়া কোন কোন স্থানে এখনো রাস্তা খোড়াখুড়ি চলছে। ফলে চলতি সনের ১৫ মার্চের মধ্যে এ কাজ শেষ না হবার শংকা শতভাগ। একই মত দিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সংশ্লিষ্টরাও।

মাগুরা সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, ৬২ কোটি টাকার রামনগর থেকে পুলিশ লাইন পর্যন্ত ৮.৮ কিলোমিটার সড়ক প্রসস্তকরন কাজের সাথে ল্যান্ড রিকুজিশন ছিল। ল্যান্ড রিকুজিশনে সময় লেগে গেছে অনেক। যে কারনে প্রথম মেয়াদের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় দফায় কাজ দ্রুত এগিয়ে চললেও একটি মামলা এখনো নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। যে কারনে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যের কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে না। চলমান অবস্থায় যদি কোথাও কোন ত্রুটি হয়ে থাকে সেখানে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজ দ্বায়িক্তে সম্পন্ন করবেন।

(ডিসি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০)