আন্তর্জাতিক ডেস্ক : অর্থ ও মানব পাচার এবং ভিসা জালিয়াতি অভিযোগে কুয়েতে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। তবে ওই বাংলাদেশির পরিচয় জানা যায়নি। খবর আল কাবাস ডেইলির।

এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় মোট তিনজন জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হলেও সন্দেহভাজন বাকি দু'জন পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। যে দুজন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেেছেন তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের সংসদ সদস্য এবং একটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য বলেও দাবি করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। তবে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি ওই প্রতিবেদনে।

ওই তিনজনের দলটি অনেকদিন ধরেই অর্থ ও মানব পাচার এবং ভিসা জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আল কাবাস ডেইলির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তিনটি বড় কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন তারা। বড় অংকের অর্থের বিনিময়ে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে শ্রমিক হিসেবে কুয়েতে নিয়ে গেছেন তারা। এই শ্রমিকদের কুয়েতে পাঠানোর বিনিময়ে তারা ১ হাজার ৩শ ৯৮ কোটি টাকারও বেশি অর্থ নিয়েছেন।

এই ব্যক্তি প্রায়ই বাংলাদেশ-কুয়েত যাতায়াত করেন বলে উল্লেখ করা হলেও তিনি কখনোই ৪৮ ঘণ্টার বেশি কুয়েতে অবস্থান করেননি। একটি সূত্র জানিয়েছে, ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) সদস্যরা তদন্ত করতে পারে এমন খবর জানতে পেরেই ওই এমপি গত সপ্তাহে কুয়েত ছেড়ে দেশে চলে আসেন।

অপরদিকে, প্রায় পাঁচ মাস ধরে ওই শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না। সরকারিভাবে যাচাই-বাছাইয়ের সময় ওই শ্রমিকদের পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে। সে সময়ই কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, এই শ্রমিকরা ভিসা জালিয়াতির শিকার।

এছাড়া অপর সন্দেহভাজন ইউরোপের কোনো দেশ পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওই ব্যক্তি একাই প্রায় সাত হাজার কর্মীকে কুয়েতে নিয়ে গেছেন বলে সন্দেহ কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০)