স্টাফ রিপের্টার : মাঘের বিদায় আজ। আগামীকাল (১৪ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন। বসন্তের এ আগমনী দিনেই এবার পালিত হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ অবস্থায় লাল ও হলুদিয়াসহ নানা রঙের ফুলে সেজেছে রাজধানীর ফুলের দোকান। ফুল কিনতে ভিড়ও শুরু হয়ে গেছে। চাপ বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা ফুলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনগুণ, অভিযোগ ক্রেতাদের।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের ফুলের আড়ত ও দোকান ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বিক্রেতারা ফুলের মালা তৈরি করছেন। তৈরি মালা ও গোলাপসহ বিভিন্ন জাতের ফুল বিক্রি করছেন। অনেকে আজকেই বাসন্তী রঙের শাড়ি পরে ফুলের দোকানে আসছেন। ফুল কিনছেন।

মানিক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস ও বাড়িতে বিয়ে উপলক্ষে ফুল কিনতে এসেছিলাম। আগে ফুলের যে দাম ছিল, তারচেয়ে দুই থেকে তিনগুণ বেমি দাম চাচ্ছেন দোকানদাররা। সেজন্য একটু হিমশিম খাচ্ছি, ফুল কীভাবে কিনব। কারণ, যে বাজেট ছিল, তাতে কুলাচ্ছে না। তারপরও কিছু করার নেই। অল্প হলেও ফুল নিতে হবে।’

যাত্রাবাড়ীতে ফুলের দোকান রয়েছে মোহাম্মদ দীন ইসলামের। বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শাহবাগের আড়তে ফুল কিনতে আসেন। দীন ইসলাম বলেন, ‘আগামীকাল বসন্তবরণ ও ভ্যালেন্টাইনস ডে। এদিন অনেক কিছুর প্রয়োজন হবে। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে ফুলের দাম আজকে অনেক বেশি। কোনো কোনো সময় ১০০টি লাল গোলাপ পাইকারিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। আজকে ১০০টি গোলাপ মানভেদে ৮০০, ১ হাজার, ১,২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগামীকাল পর্যন্ত এরকম চড়া দাম থাকবে। তারপর আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

ছোট এক টুকরিতে করে ফুলের মালা বানিয়ে তা বিক্রি করছিলেন জ্যোৎস্না নামের এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘ফুল বিক্রি বেশ ভালো। যার কাছ থেকে যেমন পাচ্ছি, তেমন দামে ফুল বিক্রি করছি।’

ফুলের দাম বেশি হলেও তেমন ক্রেতা মিলছে না বলে দাবি করেন রুহুল আমিন নামে এক খুচরা বিক্রেতা। তিনি বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার ফুল কম বিক্রি হচ্ছে। তবে ফুল বিক্রির প্রকৃত পরিস্থিতি আজ বিকেলে বোঝা যাবে।’

যদিও শাহবাগের ফুলের আড়তদার মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আজকে ফুল বিক্রির অনেক চাপ। গতকাল রাত থেকে চাপ শুরু হয়েছে। গতকাল সারারাত বিক্রি হয়েছে। আজ বেলা ১১টার পর থেকে একটি মাত্র আড়ত থেকে ফুল বিক্রি হচ্ছে। সন্ধ্যার পর অন্যান্য আড়তও ফের চালু হবে। সারারাত বিক্রি হবে।’

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০)