স্টাফ রিপোর্টার : বছরব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের কঠোর সমালোচনা করেছেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী। পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ২০১৮ সালে আপনি বলেছিলেন, আমি বঙ্গবন্ধু কন্যা। নির্বাচনে কারচুপি করে ক্ষমতায় থাকব না। অথচ দিনের ভোট রাতে দিয়ে ক্ষমতায় আছেন, বঙ্গবন্ধুকে আপনি অপমান করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নাম নেয়ার কোনো অধিকার আওয়ামী লীগের নেই।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন সুব্রত চৌধুরী।

গণফোরামের এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের যুবারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মান অর্জন করেছে। কিন্তু সরকার বললেন, এটি মুজিববর্ষের সেরা উপহার। আরেকটি কথা বলেন না, মুজিববর্ষের সেরা উপহার ঢাকা দুই সিটির ভোটডাকাতির মেয়র নির্বাচন। দুইজন মেয়র আপনারা উপহার দিয়েছেন, তাতে জনগণের কোনো সমর্থন নেই। এটাও মুজিববর্ষের সেরা উপহার হতে পারে।’

মুজিববর্ষের আরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষ পালন করেন, তাতে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু পৃথিবীর কোনো দেশে বছরের ছয়মাস আগে থেকে বছরব্যাপী…আবার বছরের পরেও আরও কতদিন মুজিববর্ষ পালন করবেন? আজকে যদি শেখ মুজিব জীবিত থাকতেন, তিনিও তো লজ্জা পেতেন। হাজার হাজার লাখ কোটি খরচ করে, ব্যানার-ফেসটুন লাগিয়ে, কীসব স্লোগান দিচ্ছেন? স্লোগানগুলো দেখলে মনে হয়, আপনারা জাতির সঙ্গে মশকরা করছেন।’

তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষের সেরা উপহার বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সর্বনাশ, ব্যাংক-বীমা শিল্পের সর্বনাশ, গার্মেন্ট সেক্টরের সর্বনাশ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। আপনারা হলেন ছাড়পোকা, আওয়ামী লীগ সরকার ছাড়পোকা, রক্তচোষা পোকা।’

আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগ ধ্বংস করেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দলীয়করণ করেছে, নির্বাচন কমিশনকে নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুব্রত বলেন, ‘এটা হচ্ছে একটা নষ্ট সরকার, ভণ্ড সরকার, চোর সরকার, ডাকাত সরকারক। এখন ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্ব অতিদ্রুত এই সরকারকে বিতাড়িত করা।’

বাংলাদেশে একটি আজব সরকার ক্ষমতা দখল করে তা দীর্ঘস্থায়ী করার রাজচালাকি করে চলেছে বলে মন্তব্য করেন সুব্রত। এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য গণফোরাম রাজপথে নেমেছে। যতদিন এই সরকারকে ঝেঁটিয়ে বিদায় না করতে পারব, ততদিন গণফোরামের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

এ সময় গণফোরামের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ প্রায় অর্ধশত কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০)