আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির মধ্যাঞ্চলীয় এক গ্রামে দুই জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘাত-সহিংসতায় নয়জন সেনাসদস্যসহ অন্তত ৪০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, ফুলানি পশুপালকদের একটি গ্রামে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত অঞ্চলটিতে বেশিরভাগ মৃত্যু হয় আন্তঃজাতিগত সহিংসতায়।

ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের অনলাইন প্রতিবেদনে সরকারি সূত্রের বরাতে জানানো হয়েছে, ফুলানি জাতিগোষ্ঠী অধ্যুষিত ওগোসাগু নামক গ্রামে শুক্রবার রাতভর সংঘর্ষের ঘটনায় ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এর আগে গত বছরের মার্চে ডনজো শিকারিদের পোশাক পরিহিত এক মিলিশিয়ার হামলায় ১৬০ জন নিহত হয়েছিলেন।

ওগোসাগুর গ্রামপ্রধান আলি ওসুমানে বারি জানান, গতকালের ওই হামলাটি করেছেন আনুমানিক ৩০ জন বন্দুকধারী। তিনি বলেন, ‘কুড়েঘর ও ফসল আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। গৃহপালিত পশু হয়তো আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে নয়তো তা নিয়ে গেছে তারা।’ সরকার দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে এই হামলার জন্য ডনজো শিকারি জাতগোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন। তবে গার্ডিয়ান তাৎক্ষণিকভাবে এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি। ওই কর্মকর্তা এবং গ্রামপ্রধান উভয়ই বলছেন, সেনা সদস্যদের ওই এলাকা ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলা করা হয়।

২০১২ সালে মালির উত্তরাঞ্চলে জিহাদি গোষ্ঠীগুলো সক্রিয় হওয়ার পর থেকেই দেশটির মধ্যাঞ্চলে সহিংসতার সূত্রপাত। তারপর থেকে এই সহিংসতা চলছেই। এই অস্থিতিশীলতার কারণে মালির প্রতিবেশী নাইজার ও বুরকিনা ফাসোতেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০)