স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দুবছর ধরে কারাগারে বন্দি। প্রহসনের বিচার করে তাকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, মানবিক কারণে সরকার তাকে মুক্তি দেবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এ সরকার দখলদার সরকার। তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পৌনে ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আজকের কর্মসূচিতে পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের নানা ভাবে বাধা দিয়েছে, কার্যালয় ঘিরে রেখেছে। ১০-১২জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। সরকার মনে করে নির্যাতন করে তারা টিকে থাকবে। এ ধারণা ভুল। পৃথিবীতে নির্যাতন করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি।

সমাবেশ শেষ হলে সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।

সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, একটি মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি রায়ে দুবছর ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। খালেদা জিয়া বন্দি মানে পুরো বাংলাদেশ বন্দি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এ জনসমুদ্র দেশনেত্রীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। গুম করে জেলে বন্দি করে প্রতিবাদ বন্ধ করা যাবে না। দেশনেত্রী বন্দি, স্বাধীনতা বন্দি, গণতন্ত্র বন্দি, পুরো বাংলাদেশ আজ বন্দি। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে বাংলাদেশ মুক্ত করতে হবে।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, সরকার বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে। তারা নানাভাবে জামিন আটকে রাখছে। সরকার জানে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে তাদের গদি থাকবে না।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মায়ের মুক্তি বাংলাদেশের মুক্তি। মায়ের মুক্তি গণতন্ত্রের মুক্তি। সুতরাং গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, প্রয়োজনে জীবন দিয়ে হলেও জেলের তালা ভেঙে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, কৌশল ও সাহসের সংমিশ্রণে এগিয়ে যেতে হবে। এভাবেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম সোহেল, যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আজিজুল বারি হেলাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি প্রার্থী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০)