স্টাফ রিপোর্টার : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক শিশু ক্যান্সার দিবস ২০২০।

দিবসটি উপলক্ষে শনিবার সকালে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল চত্বরে র‌্যালি বের করা হয়। পরে হাসপাতাল অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শাহানা আক্তার রহমান।

অনুষ্ঠানে ৭০ জন ক্যান্সারজয়ী শিশুকে নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া গান, গজল, হামদ-নাত ও নৃত্য পরিবেশন করে শিশুরা। পরে ক্যান্সারজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ক্যান্সার চিকিৎসায় বর্তমান বিশ্বে এক মাইলফলক বাংলাদেশ। বাংলাদেশেই এখন ক্যান্সারের চিকিৎসা হচ্ছে এবং প্রথম দিকে ক্যান্সার নির্ণয় করা গেলে নিরাময় সম্ভব। তবে একটি শিশু যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় তখন তার বাবা-মায়ের সব সাজানো স্বপ্ন যেন একে একে ভেঙে যেতে থাকে। আর গ্রাস করে কালো অন্ধকার। চলে হাসপাতাল আর ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি।

তারা আরও বলেন, আজ ৭০ জন ক্যান্সারজয়ী শিশুকে নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পেরে ভালো লেগেছে। কারণ তারা শুধু ক্যান্সার জয়ই করেনি রোগ তাদের চলার পথকে সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত করলেও আজ তারা তাদের মেধা, সাহস আর মা বাবার প্রেরণায় মূল স্রোতে মিশে গেছে।

হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যান্সার বিভাগ স্থাপিত হয়। এ পর্যন্ত অনেক ক্যান্সার রোগী চিকিৎসা নিয়ে আরোগ্য লাভ করেছেন। এছাড়া ২০১৮ সালে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৮ হাজার এবং আন্তঃবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯৯০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- শিশু নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান, শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক আহমেদ মুরতুজা চৌধুরী, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক চৌধুরী ইয়াকুব জামাল, সহযোগী অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২০)