বাগেরহাট প্রতিনিধি : একটু সাবধানে থাকিস, তোর পিছনে একটা কার্তুজ (গুলি) খরচ করবো, একটা গুলি, তোর আব্বা আমি,- এরপর অকথ্য ভাষায় .....গালিগালাজ! এভাবেই দৈনিক আমার সংবাদের মোংলা প্রতিনিধি মো. হাফিজুর রহমানকে মোবাইলে হত্যার হুমকি দিলেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. অহিদুজ্জামান। 

শুক্রবার রাত ১১ টা ৩৬ মিনিটে আমার সংবাদের প্রতিনিধিকে মাদ্রাসা সুপার এ হুমকি দেয়ার ঘটনায় শনিবার বিকেলে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন সাংবাদিক হাফিজুর।

সাংবাদিক মো. হাফিজুর রহমান জানান, তার পৈতৃক ব্যবসা থেকে রামপালের ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে ২০ লাখ টাকা ধার দেন। এই পাওনা টাকার অনুকুলে সুপার অহিদুজ্জামান ২৯ জানুয়ারী তার সোনালী ব্যাংক রামপাল শাখায় ৪৩৮৭৯ এর হিসাব (একাউন্ট) এর চেক নম্বর ৪০৯১৯৭৪ এ গত ২০ লাখ টাকা প্রদান করেন।

পরে গত ৫ ফেব্রুয়ারী ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে ওই একাউন্টে যথেষ্ট পরিমান টাকা না থাকায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার করে। এ বিষয়ে আইনজীবির মাধ্যমে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারকে কারন দর্শানোর নোটিশ পাঠান তিনি। এতে ক্ষীপ্ত হয়ে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) রাত ১১ টা ৩৬ মিনিটে মাদ্রাসা সুপার মো. অহিদুজ্জামান আমাকে মোবাইল করে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে এবং তোর পিছনে একটা কার্টিজ (গুলি) খরচ করবো বলে হত্যার হুমকি দেন। পাওনা টাকা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এটাতো আমার অপরাধ না, কিন্তু এ জন্য একজন মাদ্রাসার সুপার কিভাবে গুলি করে হত্যার হুমকি দেয়। সে অস্ত্র কোথায় পেল? এ ঘটনার পর আমি আমার পরিবার নিয়ে চরম আতংকের মধ্যে রয়েছি।

ঘটনা সম্পর্কে ঝনঝনিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. অহিদুজ্জামানের কাছে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোংলা থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিশ্বজিৎ মূখার্জী বলেন, মোবাইলে সাংবাদিককে গুলি করে হত্যার হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এসএকে/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০)