স্টাফ রিপোর্টার : কুয়েতে মানবপাচারে বাংলাদেশের একজন সংসদ সদস্যের জড়িত থাকার বিষয়ে দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ‘ভুয়া’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে সংসদ সদস্যের কথা বললেন, আমরা শুনেছি যে এটা ফেক নিউজ।’

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের কাছে এই মুহূর্তে কোনো তথ্য নেই। কুয়েতে আমাদের মিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো খবর দেয়নি, আমরা এখনও জানি না। তবে যতটুকু জানি এটা বোধহয় কোনো একটা পত্রিকায় বের হয়েছিল এবং পরে ওই পত্রিকাই বোধহয় বলেছে যে, এটার সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ রয়েছে।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কুয়েত সিআইডির বরাত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে মানবপাচার নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কুয়েতি পত্রিকা আল কাবাস ও আরব টাইমস।

আল কাবাসের খবরে বলা হয়, কুয়েতে মানবপাচার ও ভিসা বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন বাংলাদেশির একটি চক্রের সন্ধান পাওয়ার পর একজনকে গ্রেফতার করেছে সেখানকার সিআইডি। বাকি দুজন বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন; তাদের মধ্যে একজন আবার সংসদ সদস্য। অন্যজন একটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। চক্রটি ২০ হাজার জনকে কুয়েতে পাচার করে ৫০ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ধারণা দেয়া হয়েছে।

কুয়েতি গণমাধ্যমে ওই এমপির নাম উল্লেখ না করলেও বাংলাদেশের গণমাধ্যমে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের বরাতে লক্ষ্মীপুরের একজন এমপির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কুয়েতে জনশক্তি রফতানি এবং দেশে আর্থিক খাতের ব্যবসায় যুক্ত। তার স্ত্রী নিজেও সংরক্ষিত আসনের এমপি।

কুয়েতের পত্রিকায় বলা হয়, এই ব্যক্তি প্রায়ই বাংলাদেশ-কুয়েত যাতায়াত করেন বলে উল্লেখ করা হলেও তিনি কখনোই ৪৮ ঘণ্টার বেশি কুয়েতে অবস্থান করেননি। একটি সূত্র জানিয়েছে, সিআইডি সদস্যরা তদন্ত করতে পারে এমন খবর জানতে পেরেই ওই এমপি গত সপ্তাহে কুয়েত ছেড়ে দেশে চলে আসেন।

অপরদিকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে ওই শ্রমিকরা বেতন পাচ্ছেন না। সরকারিভাবে যাচাই-বাছাইয়ের সময় ওই শ্রমিকদের পাচারের বিষয়টি ধরা পড়ে। সে সময়ই কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, এই শ্রমিকরা ভিসা জালিয়াতির শিকার।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০)