মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুরে হল পরিদর্শকের হার্ডবোর্ডের আঘাতে এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়েছে। সোমবার সকালে মাদারীপুরে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে কেন্দ্র সচিব ও সদর উপজেলা প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

আহত পরীক্ষার্থী, সহপাঠি ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সকালে আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাকিং বিষয় শিক্ষার্থী রাকিবুল মৃধাসহ অন্যরাও পরীক্ষায় অংশ নিতে কক্ষে প্রবেশ করে।

এ সময় রাকিবুল মৃধা উত্তরপত্র সম্পূর্ণ করছিলেন না, এমন অভিযোগে ওই কক্ষের শিক্ষক পরিদর্শক আবুল হোসেন তার উপর ক্ষেপে যান। এক পর্যায়ে পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক হার্ডবোড ছুড়ে মারে। এতে করে পরীক্ষার্থীর মাথা কেটে রক্ত ঝড়তে থাকে। পরে অন্য শিক্ষকরা দ্রুত এগিয়ে এসে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

এ সময় পরীক্ষা কক্ষে হট্টগোল শুরু হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসে পরিবেশ শান্ত করেন। নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হয়।

অপরদিকে ঐ পরীক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়ে প্রায় আধ ঘন্টা পরে পরীক্ষায় অংশ নেয়। এই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব মো. হুমায়ন কবির তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেনকে সকল প্রকার পরীক্ষা থেকে অব্যাহতি দেন।

এদিকে এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীর অভিভাবক, সহপাঠিরা ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠে। তারা ঐ শিক্ষকের শাস্তির দাবী জানান।

আহত পরীক্ষার্থী মাদারীপুর পৌর শহরের ইউনাইটেড ইসলামিয়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। সে সদর উপজেলার রাস্তি ইউনিয়নের পূর্ব রাস্তি গ্রামের জব্বার মৃধার ছেলে।

আর অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন শহরের আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের খন্ডকালিন ইংরেজী শিক্ষক। এই ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, ‘আমি ইচ্ছে করে ওই পরীক্ষার্থীকে হার্ডবোড নিক্ষেপ করিনি। ওই ছাত্রকে বার বার বলার পরেও উত্তরপত্রের ওয়েমার ঠিক করছিল না। পরে তার হার্ডবোর্ড রাগ হয়ে ছুড়ে মারলে কিছুটা কেটে গেছে। এরজন্যে আমি আত্মরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

কেন্দ্র সবিচ মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিকভাবে ওই শিক্ষককে সকল প্রকার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। ওই শিক্ষক আছমত আলী খান পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের খন্ডকালিন ইংরেজীর শিক্ষক। তাকে ওই স্কুল থেকেও অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হবে।’

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস জানান, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে পরীক্ষার সব ধরণের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

(এএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২০)