পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : বরগুনার পাথরঘাটায় গৃহবধূকে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাতের নির্জনতায় হাত-পা ও মুখ বেধে ধর্ষণ শেষে স্বার্নালংকার এবং মূল্যবান কাগজপত্র লুটে নেয়ার অভিযোগ করেছে ধর্ষিতার পরিবার । তবে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত ধর্ষক আরিফের বাবা ইউপি সদস্য সোহরাব মিয়া। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বাদুরতলা গ্রামে এঘটনা ঘটে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ধর্ষিতা নারীর ভাই মো.মামুন মিয়া।

মামুন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত দু'টার দিকে তার বোনের বাড়িতে প্রতিবেশী ইউপি সদস্য সোহরাফের ছেলে আরিফ সহ ৪/৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে সিধঁ কেটে ঘরে প্রবেশ করে। তার বোনের হাত পাঁ ও মুখ বেধে ধর্ষণ করে। ধর্ষনশেষে তার বোনের গলায় ধারালো চাকু ধরে আলমিরার চাবি ছিনিয়ে নেয়।আলমিরাতে থাকা স্বার্ণালংকার ও মূল্যবান কাগজ পত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশকে ঘটনা জানান তিনি। বোনকে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেল প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মেডিকেল টেস্টের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মামুন অভিযোগ করেন, দীর্ঘ দিন ধরেই ইউপি সদস্য ছোহরাবের সাথে একটি মামলা চলছিল। সেই মামলার কাগজ নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. খালিদ মাহমুদ আরিফ জানান, প্রাথমিক ভাবে আমরা ধর্ষনের আদামত পাইনি। তবে তার গলায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আরিফ এর বাবা ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমার সাথে ওই লোকের সাথে টাকা নিয়ে কোর্টে মামলা আছে। সেই সত্রুতার কারনে আমাকে ঘায়েল করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করছে। এগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ যদি এমন কোনো অভিযোগ দিতে পারে তাহলে বিচার যা হয় তা মেনে নেব।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. সাইদ আহমেদ জানান, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। ধর্ষিতাকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার রিপোর্টের পরে যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে ।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০)