চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহর উপজেলার রতনপুর গ্রামে বসতবাড়ির জমি থেকে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ মালিক শহিদুল আলম মঞ্জুর। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, রতনপুর গ্রামের মৃত মনসুর রহমানের ছেলে শহিদুল আলম মঞ্জু পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে বাড়ি ও গাছপালা রোপন করে দীর্ঘদিন ধরে বসত করে আসছেন। এর মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি দুুপরে স্থানীয় এম কে আর আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল লতিফ ও তার সহযোগীরা কাউকে না জানিয়ে এমনকি জমির মালিকের অনুমতি না নিয়ে তিনটি গাছ কেটে ফেলেন।

এ সময় তারা একটি আম গাছ, একটি কাঁঠাল গাছ ও একটি নারিকেল গাছ কাটেন। গাছ কাটার সময় শহিদুল আলমের স্ত্রী হেলালী খাতুন তাদের নিষেধ করলে নানারকম ভয়ভীতি দেখায়। এতে করে এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জমির মালিক শহিদুল আলম মঞ্জু।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল লতিফ বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পরীক্ষা চলছে। আমি সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পরীক্ষার কেন্দ্রে থাকি। কে বা কারা গাছ কেটেছে আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সঠিক নয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা গেছে, জায়গাটি ব্যক্তিগত, সরকারি নয়। ব্যক্তিগত জায়গায় প্রশাসন কোনো হস্তক্ষেপ করবে না। সে কারণে জমির মালিককে আদালতের শরনাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২০)